যখন তাঁর বয়েস একুশ
প্রখ্যাত কয়েকজন ডাক্তার সখেদ গাম্ভীর্যে বলেছিলেন
স্টিফেন, তুমি আর বড় জোর আড়াই বছর বাঁচবে,
আমাদের আর কিছু যে করার নেই!
অসুখের নাম মোটর নিউরোন, চিকিৎসা শাস্ত্রের অতীত
একটার পর একটা অঙ্গ পঙ্গু করে দিয়ে হৃৎপিণ্ডের গলা টিপে
মারে
তবু সেই একুশ বছরের যুবকটির মস্তিষ্ক সেই অসুখকে চ্যালেঞ্জ
জানিয়েছিল
তুমি আমার শরীরকে হারাতে পারলেও আমাকে জয় করতে
পারবে না
দ্যাখো, আমি বাঁচবো, বাঁচার সমস্ত সম্ভোগ নিয়ে বাঁচবো
একদিকে নষ্ট হতে লাগলো শরীর, অন্য দিকে তীক্ষ্ণতর
হতে লাগল মেধা
আজ স্টিফেন হকিং-এর বয়েস পঞ্চাশ বছর
এই শতাব্দীর দ্বিতীয় আইনস্টাইন
অপ্রতিদ্বন্দ্বী পদার্থবিদ, মহা বিশ্বতত্ত্বকে ধরেছেন গণিতে
চলৎশক্তি নেই, তবু তিনি জানেন এই পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য
এবং ধ্বংস নিয়তি
যাকে বাঁধা যায় না, সেই সময়কেও বেঁধেছেন ইতিহাসে
কথা বলতে পারেন না, আবিষ্কার করেছেন নীরব প্রেমের ভাষা
তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নারী, তিনি দিয়েছেন অনুভবের
মাধুর্য
তিনটি সন্তানের অলৌকিক পিতা হতে গিয়ে
প্রত্যেকবার বলেছেন,
অসুখ, তোমাকে ধন্যবাদ, তুমি আমার জেদ
সীমাহীন করেছো
কবিদের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞানীকে জানাই সহমর্মিতা
এই একজন স্রষ্টা, তিনি মৃত্যুর মুখে চুনকালি
দিয়ে নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে চলেছেন অনবরত