স্বপ্ন দেখার রাত, আচমকা জেগে ওঠার রাত
কখন মিলিয়ে গেল একটা নীল সরোবরে
পদ্ম ফুলের পাপড়ি মেলছে, ভোর
মোষের পিঠে চেপে বাঁশি বাজাচ্ছে একটা শ্যামলা রঙের বাচ্চা
সূর্য ওর খিদে আনে, সূর্য সকলের খিদে আনে
রোদ্র সবাইকে সাজগোজ করে তৈরি হতে বলে
সবুজ শান্তির মতন ধান খেতে লকলক করছে
দুপুরবেলার উনুনের আঁচ
জল কাদায় কোন এক পলাতকের পায়ের ছাপ!
বাতাস যখন-তখন একটা যাই যাই রব তোলে
সোনাঝুরির উড়ন্ত রেণুতে যাই যাই
বকের ডানায় যাই যাই
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিতে বিশাল ঝংকারের মতন
বেজে উঠছে যাই যাই
কথা শেষ হলো না, কথা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে
বেত গাছের ডগার মতন কাঁপছে বাল্যকালের লিপ্সা
অনির্ণয় হাত জোড় করে বলছে, যাই
অন্ধকার সুড়ঙ্গ, অমীমাংসিত ধাঁধাগুলি বলছে যাই
জীবন বয়ে চলেছে নিজের নিয়মে
এক জীবনে কী আর সব হয়!