লিখে যেতে হবে এই কথাগুলি পাথরে খোদাই
শাশ্বত অক্ষরে লেখা থাক
যখন গোধূলি ধোঁয়াশা লিপ্ত, কেউ কেউ ছিঁড়ে খায় ইতিহাস
কেউ কেউ হাত মিলিয়েছে চোর-খুনির সঙ্গে
তখনো নিভৃতে অকলুষ হাতে ওরা লিখে গেছে
ছেঁড়া চটি আর শূন্য পকেট, কিছুই চায়নি
ওরা লিখে গেছে কবিতা শুধুই কবিতা এবং
রাত ভোর করা শব্দ মন্ত্র
ঐ যে মেয়েটি, কী নাম তোমার? কে তোমায় এই
মাথার দিব্যি, দায় দিয়েছিল, যখন বাতাসের ক্রোধ ও হিংসা
আলু-পেঁয়াজের দর ওঠা নামা, সব খবরের কাগজে শুধুই
আস্তাকুঁড়ের ছবি ও গন্ধ
তবু তুমি প্রতি কবিপক্ষেই বার করে যাবে যোগব্রতর
কবিতাপত্র, সে নিজে কবেই মেঘ হয়ে গেছে
তুমি ভালোবেসে প্রেমে ও ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়ে
কী তীব্র জেদ
লিখে যেতে হবে এই দেশে তুমি, তুমিও রয়েছে!
লিখে যেতে হবে, নতুন শতকে, কিংবা ত্রিংশ শতাব্দী পরে
কে কোথায় আছো, শুনছো তোমরা?
মহাফেজখানা যে দলিল রাখে কাগজে কালিতে ভুল বোঝাবুঝি
খল খল হাসে মুণ্ড শিকারি, বাক বিভূতিতে মিথ্যের নানা
প্রলেপের মতো রং ফুলঝুরি
কুম্ভীপাকের নরকে চলেছে সিংহাসনের আজব লড়াই
আগুন জ্বলেছে দাউ দাউ আর দশ দিক জুড়ে
দাও দাও ধ্বনি
তবু কিছু কিছু সদ্য তরুণ এবং তরুণী
কিছুই পায়নি, ওষ্ঠ উল্টে কিচ্ছু চায় না
রাত জাগা চোখে কলম কামড়ে কোন উপাসনা
নিয়ে মেতে আছে
যমদূত আর দেবদূতরাও দু’ পাশে দাঁড়িয়ে
ওরা হতবাক, সময় চিহ্নে এদের চেনে না
লিখে যেতে হবে, অনাগত কাল, লিখে রাখা হলো
একবার শুধু দেখে নিও এই
উল্টোপাল্টা সময়ের আবছায়া শিলালিপি!