সাত পা এক সঙ্গে হাঁটা, তারপর স্বপ্ন দেখা শুরু
যখন তখন, দিন দুপুরে, রান্না ঘরে, বাথরুমে জলের ধারায়
স্বপ্ন বদলে যায় বারবার
তুমি মেয়ে চেয়েছিলে, আমি কেন ছেলে চাই
নিজেই জানি না
দেখো, যে এসেছে সে যে দু’জনেরই
দু’ চোখের মণি
হামাগুড়ি দিতে দিতে টলটলে পায়ে দাঁড়িয়েছে
এখন দুধের গ্লাস নিজে ধরতে পারে, কী দারুণ
চমৎকার দুষ্টুমি শিখেছে।
এবার ইস্কুলে যাবে, মামণি ইস্কুলে যাবে
তুমি কিংবা আমি পৌঁছে দেব, কিন্তু কে আনবে
স্কুলবাস অ্যাদ্দুর আসে না।
আবার সে স্বপ্নটাই ফিরে ফিরে আসে
আমাদের চার দেয়াল, আমাদের নিজস্ব বারান্দা
ঘিঞ্জি বসতিতে নয়, শহরতলিতে নয়
নতুন রাস্তায়
অফিস যাবার পথে রোজ দেখি। সার সার বাড়ি উঠছে
তিনতলার ফ্ল্যাট
পুরোটা দক্ষিণ খোলা, বড় বড় জানলা সব দিকে
দেখো, দেখো, মেঝেটা কী ঠান্ডা, আর দেয়ালগুলোও
বেশ দূরে দূরে
রং বদলাতে হবে, যেমন দেখেছিলাম ভোরবেলা
কাঞ্চনজঙ্ঘায়
মামণি, দেয়ালে তুমি খবরদার পেনসিল দিয়ে
ছবি আঁকবে না
টবে ঝুলবে মানি প্ল্যান্ট, এবং মায়ের ঘরে রামকৃষ্ণদেব
খাঁচার ময়না পাখি, মা ওটা আনবেনই,
যখন তখন কথা বলে
দরজায় বেল বাজলে বলে ওঠে, কে এল গো? এসো, বসো
চা খাও, চা খাও!
কী মুশকিল, ওর জন্য কলের মিস্তিরি আর পিয়নকেও
চা খাওয়াতে হয়।