জঙ্গল ক্রমশ কমে আসছে ঠিকই, তবু একটা গভীর অরণ্য
বেশি দূর যেতে হয় না, মাঝে মাঝে খুব কাছে আসে
নীরব পাঁশুটে গাছ, হাতছানি দেয় ছোট-বড় পরগাছা
পায়ে চলা সরু পথ, মাঝে মাঝে ঘোর অন্ধকার
জঙ্গল ক্রমশ কমে আসছে ঠিকই, তবু একটা গভীর অরণ্য—
বাতাসে কীসের শব্দ, বিন্দু বিন্দু আলো নয়, উড়ন্ত স্ফুলিঙ্গ
পাতা-পোড়ানিরা সব বৃত্ত হয়ে বসে আছে দীর্ঘ চুল মেলে
কেউ কারো দিকে চায় না, শোনা যায় দ্রিমি দ্রিমি ধ্বনি
এক দৌড়ে বাইরে আসা যায়, তবু পিছুটান গেঁথে থাকে পিঠে
জঙ্গল ক্রমশ কমে আসছে ঠিকই, তবু একটা গভীর অরণ্য—
ভাতের থালায় এসে উড়ে পড়ে পোকা ধরা অজানা বৃক্ষের
জীর্ণ পাতা
সিঁড়ির তলায় লম্বা সাপ আর পাহাড়ি ইঁদুর খেলা করে
খেলার ওদিকে আমি, বাড়িখানা ভাঙা মন্দিরের মতো নিথর নির্জন
একদা যেখানে ছিল ঝর্না তার শুকনো খাতে দিকহারা ফড়িঙের ঝাঁক
পাথরের খাঁজে বসে থাকা যায়, হাওয়ায় অসংখ্য দীর্ঘশ্বাস
জঙ্গল ক্রমশ কমে আসছে ঠিকই, তবু একটা গভীর অরণ্য
মাঝে মাঝে কাছে আসে, অথবা স্বেচ্ছায় তার গাঢ় তমসায় ছুটে যাই!