এমন যাদু আছে মধু রুক্ষ গাছের গায়
ছেলে বুড়ো নাতি নাতনি সবাই চেটে খায়।
শীতের ভোরে হাত পা নড়ে কাঁপন লাগে গায়
মিষ্টি রোদে রোদ পোহাতে কে রস খাবি আয়।
সাঁঝ বিহানে শিউলী জানে কলসি বেঁধে যায়
রাত্তিরেতে মন জুড়াতে কলসি ভরে যায়।
সকাল সকাল কলসি নামায় চাদর দিয়ে গায়
প্রাণ জুড়াতে ভূভারতে রসের মজা খায়।
শুনছো সাধু বলছে দাদু কে রস খাবি আয়
জিরেন কাটের রস হলে সে দারুণ সুবাস ছড়ায়।
এ শুধু নয় রসের যাদু পাটালী গুড়ও হয়
জয় নগরের মোয়ার যাদু আছে এ রস টায়।
এবড়োখেবড়ো গাছটি ঢ্যাঙা কাঁটায় ভরা পাতা
মাথার উপর ধরে আছেন আস্ত একটা ছাতা।
ফলও দেয় মিষ্টি রস দেয় ঠিক দুধেলা গাই
খেঁজুর ও খাই রস ও যে খাই হাত পা তুলে নাচাই।
শিউলী ভায়ার হাতের গুণে গতর চ্যাঁছা রস
ভূভারতের সব মানুষকে করতে পারে বশ।
খেঁজুর গুড়ের পাটালী হয় জয় নগরের মোয়া
শীতের দিনে সবাই জানে নলেন গুড়ের মায়া।
যত্ন আত্তি কিছুই হয় না বনে বাদাড়ে বাড়ে
আদর যত্ন করলে লক্ষ্মী লাভ হয় ঘরে ঘরে।
একদিকেতে রস ঝরিয়ে দুর্বল তার দেহ
অন্যদিকে থোকায় থোকায় খেঁজুর পাড়ে কেহ।
আরব দেশের মরুর খেঁজুর অন্য রকম হয়
বাংলাদেশের শ্রমিক গিয়ে খেঁজুর পেড়ে দেয়।
প্যাকেট জাত হয় সে খেঁজুর অন্য দেশে যায়
খাদ্য পুষ্টি ঔষধি গুণ খেঁজুরে বর্তায়।
খেঁজুরে কেউ আলাপ করে খেঁজুরে গুড় হয়
খেঁজুরে হয় শক্তি বৃদ্ধি হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়।
এনিমিয়ার প্রতিরোধ আর হাড় মজবুত করে
মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় আনো খেঁজুর ঘরে।।