নতুন রাস্তার ওপর দিয়ে, বহুদিন পর, আমি হেঁটে চলেছি আজ
বহুদিন পর, ‘দু’পাশে ফলের দোকান
অন্ধকার ডাক্তারখানার পাশ কাটিয়ে রহস্যময় ল্যাম্পপোস্ট, স্থির, শোকাকুল
পায়ে চটি, বড়দিনে দেখেছিলাম এবার
ফাঁকা মোটরগাড়ির ভেতর বেতের ঝুড়ি-ভর্তি ফুল
মেমসাহেব চুমু খাচ্ছে বাড়ির দারোয়ানকে
আঃ আমি সুন্দরভাবে মরে যেতে পারি আজ
ছেঁড়া কপি-পাতার ওপর আজ ভেসে থাকুক আমার নিরুত্তাপ মুণ্ডু
গম্ভীরভাবে চিঠি আসুক তাড়াতাড়ি :
দু’দিন পর ধর্মভ্রষ্ট শরীর এসে পৌঁছবে
লাল বাড়ির পাশাপাশি হাঁটতে চিরকালই ভয় করে আমার—যেমন
আমি গিয়েছিলাম আমহার্স্ট স্ট্রীট—
আমি গিয়েছিলাম আরও অনেক জায়গায়, যেমন
বন্ধুর বিয়েতে সাতটা ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো আমার
আমি নিয়ে গিয়েছিলাম পুরোনো এক ক্যামেরাম্যান—
আমি আবিষ্কার করেছিলাম বাথরুম
বাথরুমের ভেতর দিয়ে, বিশাল কোট পরে, আমি একদিন ভবানীপুর গিয়েছিলাম
বারান্দায় বসে
হাসতে হাসতে সেইসব বলা যাবে তোমাদের একদিন
আরও বলা যাবে, কীভাবে আমার শরীর লম্বা হলো এ্যাতোটা
কীভাবে এক সন্ধেবেলা, আমি মুখোমুখি এক ষাঁড়ের সামনে পড়েছিলাম
এক গলির ভেতর
প্যান্টের পকেটে, সিগারেটের নষ্ট তামাক—আর আমি মা-র জন্যে
বিছানার নতুন চাদর কিনে বাড়ি ফিরবো একদিন—
দেখে এলাম, কালো বুট-জুতোর ভেতর ঘুমিয়ে রয়েছে সাদা ইঁদুর
মাস্টার মশায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেছে
মাস্টার মশায়ের অর্ধোন্মাদিনী স্ত্রী—
দিনের শেষে, একটাই ইচ্ছে তবু জেগে থাকে মানুষের
কাদামাখা চটিজোড়ার ওপর আছড়ে পড়ে না সে-সময় স্নেহের ছাপ—
ইয়ার্কি নয় ডিয়ার—রাতদুপুরে, মানুষের জানলায় উঁকি মেরে দেখেছি আমি
খোলা শরীরের ওপর, খেলা করছে, খোলা শরীর
হলুদ বিছানা, ভেসে চলেছে স্বর্গের দিকে