বাসন্তী হলুদে হাঁটো, তাই বাস নেমে পড়ি
নীল মেডিকেলে; অথচ টিকিটগুলো শ্যামলী, শ্যামলী।
তুমি বোললে খোলাচুলে কালো ব্যাজ, শোকচিহ্ন হয়,
বুকে কালো ফিতে বাঁধা পুরুষে মানায়, তুমি বোললে তাই,
পাঞ্জাবিতে কালো ফিতে গাঁথলো আলপিন।
‘শহীদেরা ফুল ভালবাসে, সবগুলো গোরস্থানে দেবো’
–তুমি বোললে তাই অনেক ফুলের গাছ
আমার অশ্লীল স্পর্শে লণ্ডভণ্ড হলো,
সূর্যমুখী, রক্তজবা, ক্রিসেনথিমামে।
তুমি বোললে তাই আমরা এগিয়ে গেলাম,
নিষ্পাপ কিশোর মরলো আবদুল গণি রোডে।
তুমি বোললে রাজপথ মুক্তি এনে দেবে,
আমরা ভীষণ দুঃখী, নিপীড়িত শত-অত্যাচারে
‘গীতাঞ্জলি’ অকর্মণ্য হবে।
আমরা তাই রঙিন-প্ল্যাকার্ড
সাজিয়েছি মাও সে তুং, গোর্কি, নজরুলে।
তুমি বোললে পাপ, ক্রান্তিকালে নির্জনতা,
ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতা খোঁজা,
আমি তাই আলোড়িত সশব্দ মিছিলে
পল্টনের জনাকীর্ণ মাঠে জিন্দাবাদ।
তুমি বোললে প্রেম হবে, প্রেমের ভুবন যদি আসে
বুকের কুসুম থেকে দেবে শব্দাবলী, কবিতার বিমূর্ত চন্দন।
আমি তাই যে কোনো কঠিন মূল্যে প্রেমের ভূবনখানি চাই।
যদি কভু প্রেমে পড়ি! একদিন প্রেমে পড়বো।
প্রেম সত্যি হবে?