চৈত্র বিদায় নিয়েছে কবেই কৃষ্ণচূড়া কি লাল
শিমূল পলাশ হয়েছে মলিন প্রখর সূর্য ভাল।
বৈশাখ মাস আসে কতো গৌরবে সে কেন বৃষ্টি বিহীন
হাওয়া দেয় বটে তপ্ত দিনেতে সে হাওয়া মরুতে লীন।
রুক্ষ শুষ্ক বৈশাখী দিন কাল বৈশাখী হীন
দিনের উত্তাপে চাঁদি ফাটে তাতে রাত্রি নিদ্রাবিহীন।
জলাধারে জল শুকায় কেবল মাটি ফেটে চৌচির
কি হবে ফসল চাষ আবাদ হীন প্রাণী কূল অস্থির।
পশু পাখি গাছ তরুবীথি লতা রোদ্দুরে পুড়ে যায়
শান্তির ছায়া গাছ কেটে হাওয়া গাছ কেটে কেউ পস্তায়।
একদা যে তাপ ছিলো মরুদেশে সেই তাপ আসে বাংলায়
বৃষ্টি ও মেঘ চেয়ে সারা হয় নাজেহাল লোক বাংলায়।
এসো হে আষাঢ় শ্রাবণের ধারা বর্ষণ করে যাও
নিদাঘের শেষে ঘন বর্ষাতে সবাকার প্রাণ জুড়াও।
শুনি আসো তুমি বিপুল হরষে বাধা বন্ধন হীন
সব শাপ তাপ নিমেষে জুড়াও যা ছিলো ধূলিমলিন।
মা’র অভিষেকে এসো ত্বরা করে সকলে তৃপ্ত হোক
এসো হে শ্রাবণ করো বর্ষণ ধরণী শীতল হোক।।