আয়রে তোরা দেখে যা —
আগমনীর ডাক এসেছে —
শরৎ রানী নব বসনে কেমন সেজেছে,
কবরী ঢেকেছে কেতকী ফুলের গজরাতে
বসনে পরিহিতা শিউলি ফুলের সাজানো শাড়িতে।
কঙ্কন তার রয়েছে দেখো শত পদ্মের সমাহারে ভরি,
কন্ঠে পড়েছে নীল কমলের সাতনরী।
চারিদিক তার সৌরভের সমারোহে ছেয়ে গেছে,
কি অনাবিল আনন্দ আজ যেন মাঠে ঘাটে জেগে উঠেছে।
রাখাল বালক ধেনু লয়ে বংশী হাতে গাইছে গান,
পূব আকাশের নিয়ে অপূর্ব সুরের তান।
কখনও কৃষক ভাইদের দেখো চেয়ে আছে কনক চাঁপা কচি পল্লবের দিকেতে,
চোখ দুটো তাদের সবুজ চাদরে মোড়া ক্ষেত্রতে।
নব কিশোর তরুণরা আজ উঠেছে মেয়ে আগমনী মায়ের উৎসবেতে,
কি করে কাটাবে আনন্দে বিভোর এই শারদ পরবে তে।
যদিও নেইকো আমার আনন্দ আজ,
কি করে নেবো তোমায় ছাড়া আহ্লাদের সাজ।
পারবো না ছেড়ে থাকতে তোমায় সেই মুহূর্তের ক্ষণ গুলিতে,
তবুও সব মেনে নিতে হবে দায়বদ্ধতার দ্বারেতে।
কত কথা বলব ভেবেছি এই শরতের প্রভাতে,
শিউলি হাতে ছুঁইয়ে দেবো তোমার দুই বাহুতে।
আলিঙ্গনে নেবো আমি যত পিপাসা আছে ওষ্ঠে তে,
এক নিমেষেই শুষে নেবো সব তোমার বন্ধনেতে।
এসো হাত বাড়িয়ে প্রাণ সখা আমার মহালয়ার রাত্রি বাসরে,
যেখানে তোমার ইচ্ছে গুলো রাখবে তুমি পূর্ন অধিকারে।