বয়স আমার যখন তিন বছর
মা আমার হয়ে গেলো আকাশের তারা
বাবা আমার খুব ভদ্রলোক
তবু বিয়ে করে আনলো ঘরে মা।
বছর দুয়েক বাসলো ভালো আমায়
তারপরেই হয়ে গেলো সৎ মা
আমি হলাম তার সতীনের ছেলে।
অত্যাচারে ছাড়লাম আমি বাড়ি ঘর।
রবিন খুড়োর ছিল চায়ের দোকান
সেই দিলো আমায় একটা কাজ।
দিনের বেলায় কাপ ধুতাম চা দিতাম
রাতের বেলায় শুতাম ওই দোকানেই
বাবা আমার দেখতে আসতো মাঝেমাঝে
লজ্জা লাগতো বাবা বলে পরিচয় দিতে
কিন্তু তার জন্যই এসেছি পৃথিবীতে
তাই পারিনা বাবা বলে পরিচয় না দিতে।
এই ভাবে চলল বেশ কয়েক বছর
এক দিন দেখা হয়ে গেলো দিনু দাদুর সাথে
বললে ভানু আমি কেটে দুভাগ করি সব
শিখবি কি তুই আমার কাছে ওই সব কাজ
আমি হেঁসে বলি দাদু ও কাজ শিখে করবো কি
পুলিশ এসে ধরবে ঘারে ভরবে দিয়ে জেলে
দাদু হেঁসে বলে আমায় নারে ভানু না
একাজ শিখে পুলিশের মাথায় মারবি টালা
কানে ধরে মারবি টান পুলিশ হেঁসে বলবে তোকে
কত টাকা দেবো ভাই ভালো লাগলো আমায়।
ভানু আবার হেসে বলে এ কেমন কাজ দাদু
দিনু তখন ভানুই বলে শোন তবে ভাই শোন
আমার আছে একটা চুলদাড়ি কাটা সেলুন
আমি সবার চুল দাড়ি কেটে দুভাগ করি
তারপরে ম্যাসাজ করতে মাথায় টালা মারি
সবশেষে কাপড় দিয়ে কান টেনে ফুটাই
খরিদ্দার খুশি হয়ে আমায় বেশি টাকা দ্যায়।
এটাই হলো আমার কাজ যাকে বলে সেলুন।
এবার ভানু হেঁসে বলে শিখবো দাদু ও কাজ
পুলিশের মাথায় টালা মারা আমার বড়ো সক
কিন্তু প্রথম আমি দুভাগ করি তোমার দাড়ি খান।
দিনু দাদু হেঁসে বলে চল তবে আমরা যায়
দুভাই মিলে আমরা ওই সেলুন চালায়।
আর সবার মাথায় টালা মেরে টাকা কামায়।।