আজ সকালে মনে প্রশ্ন জেগে উঠলো
আচ্ছা আমি কি এই দেশের নাগরিক?
নাগরিক কি এই সভ্য সমাজের ?
না কি গনতন্ত্রের বুলি আঁকড়ে
রাষ্ট্রযন্ত্র চলকদের হাতের জ্বালানী,
সেই রাষ্ট্রবাদ যা পুঁজিবাদের চাপে
চাপা পড়া সাম্যবাদের নিশানা?
রাষ্ট্রযন্ত্র চলকরা তো জানেন আমাদের
মত সাধারণ মানুষকে কি কি দিয়ে
ভুলিয়ে রাখা যায় ?
আর আমারও মত্ত হয়ে আছি
সেই আদি কাল থেকে…
জাত পাত ধর্ম অধৰ্ম এইগুলোতেই।
হ্যা এই ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণির
রোজকার চর্চার বিষয় এই গুলোই !
আর আমাদের নিশ্চিত বসবাস
হিংসা,বিদ্বেষ,অন্যায়, অনাচার,ব্যাভিচার,
নৃশংসতা, ষড়যন্ত্র আর অহংকার নিয়ে ।
প্রত্যেকর গভীরে আছে ক্ষুধা,কাম আর
তৃষ্ণার হাহাকার,
লোভ লালসার আকাশচুম্বী অট্টালিকা,
আমাদের লোভের পলেস্তরা খসে পরে
আমাদের বিনয়ের ভাষনে!
ইট বালির সমুদ্রে চাষাবাদ করি লোভের,
কয়জন ভাগ বসাবে একটা বিশ্বাসের
নিঃশ্বাসে!
বেরিয়ে আসে বর্ণচোরা সূচলো নখ,
লোভের ঝকঝকে শাণিত দাঁত,
চকচকে চোখ,লকলকে জিভ আর
লালার স্রোত ভেজা মুখোসে।
বিশ্বাস তো কবেই হরিয়ে গেছে
অর্থনীতির বাজারে ।
যেখানে আমরা নিজের ছায়াটাকেও
দেখি সন্দেহের চোখে ,
খুন,জখম,ধর্ষণ, জ্বালাও,পোড়াও,
আন্দোলন অবরোধ আর হরতাল।
খসে খসে পরে লোভের পলেস্তরা
লোনাধরা সমাজের বুক থেকে।
আর অলক্ষে হাসে আমাদের
কাঙালীপনার অস্থি কঙ্কাল।
পারি কিন্তু আমরাই এই জীর্ণ মানসিকতা,
বিভেদ ভুলে সমস্ত বিশ্বের অন্ধকারকে
একটা আগুনে বন্দী করে পোড়াতে।
সেখান থেকে জন্ম হতে পারে
একটা ভালোবাসার পৃথিবীর
আর সেখানে থাকবে পবিত্র মানুষ।
যে মানুষ বিভেদ ছাড়া বিশ্বাসে
হেঁটে যাবে ঈশ্বরের দেখানো পথে।
সারা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বাজবে
একটাই সুর একটাই বিশ্ব সঙ্গীত-
একসাথে আমাদের সবার গলায়।
ভেবে দেখো তোমারা…
শুধু কিন্তু আসা আর চলে যাওয়া,
মাঝখানে সাজানো ছোট্ট একটা
জীবন নাটকে বন্ধু পরিজন,সংসার,
সমাজ, দেশ..।
সারা পৃথিবীর মানচিত্র জুড়ে এখন
টুকরো টুকরো সময়ের আগুন জ্বলছে ,
পুড়ছে মানবিকতা বিচ্ছিন্নতার নামে,
পুড়ছে মানুষ ক্ষমতার লোভে।
আসুন ভেদাভেদ ভুলে একসাথে বলি
আমাদের শহর ,আমাদের দেশ নয়
এক বিশ্বের নাগরিক আমরা।
আর আমরা মানুষেরা মিলেমিশে
হাতে হাত ধরে শান্তিতে জীবন যাপন