Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » বালিশ || Dona Sarkar Samadder

বালিশ || Dona Sarkar Samadder

কাজের চাপ সাথে বিশ্রী গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অজয় সপরিবারে চলেছে দীঘায়। সাথে ওর কিছু বন্ধু বান্ধবও সপরিবারে চলেছে। অজয় ফোনটা সুইচ অফ করে গাড়ি চালাচ্ছে। আগু পিছু সকলের গাড়ি চলেছে। ওল্ড দীঘার ব্লু মুন হোটেল আগের থেকেই বুক করা ছিল। বেশ অনেকটা রাতেই গাড়ি এসে থামলো ব্লু মুনের সামনে। গাড়ি চালিয়ে বেশ ধকল হয়েছে। সামান্য কিছু খেয়ে শুয়ে পড়লো সবাই।

ডাবল বেড রুম। একটা বেডে অজয়, সাথে ল্যাপটপ। অন্যটাতে স্ত্রী নিতু ও ছেলে তাতাল। প্রত্যেক পরিবারের জন্যই এক ব্যবস্থা।পুরো টিমটাই ক্লান্তি দূর করতে বিছানায় শুয়ে।

রাত সামান্যই গড়িয়েছে। অজয় দেখতে পাচ্ছে একজন সুন্দরী যুবতী সাথে কয়েকজন যুবক। হয়তো বন্ধু। বীচের কাছাকাছি ঘুরছে। সন্ধ্যা অবধি আড্ডা মেরে ওরা ওদের হোটেলেই ফিরলো। ওরাও নিজস্ব গাড়ি এনেছে। গাড়ির ডিকি থেকে দামী দামী মদের বোতল নামাচ্ছে।সব দামী মদ। একটা রুমে সবাই। চলছে দেদার মদ খাওয়া। প্রায় মাঝরাত। যুবতীও টি অল্প বিস্তর খেয়েছে। এরপর শুরু হলো যুবতীটির সঙ্গে অভব্য আচরণ, শুরুতে ঠাট্টার পর্যায়ে ছিল। যুবতী বাধা দিতে গেলে শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। যুবতী সম্মান বাঁচাতে চিৎকার করছে। অজয়ও চাইছে সাহায্য করতে, কিন্তু পারছেনা। চার পাঁচ জন লম্পট ঝাঁপিয়ে পড়লো ওর উপর, গণধর্ষণ করলো। নিথর হয়ে গেল যুবতী। সাড়া না পেয়ে ভয় পেল লম্পটগুলো।রাতের আঁধারে টেনে নিয়ে গেল ওকে। অজয় বুঝতে পারছে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেছে, কিন্তু মরেনি। চাইছে সাহায্য করতে, কিন্তু পারছেনা। মেয়েটিকে পুঁতে দিল। এদিকে ভোরের আলো ফুটবে। সকাল বেলাতেই হোটেলের সব দেনা পাওনা মিটিয়ে লম্পটগুলো হোটেল ছাড়লো। অজয় নীরব দর্শকের মতো দেখছে। লম্পটগুলোকে আটকাতে এবার চিৎকার করে উঠল। পাশ দিয়ে স্ত্রী বলে উঠলো তখন থেকে কি আজেবাজে বকছো।

সকাল বেলায় সবাই সূর্যোদয় দেখতে গেল। অজয় বেরোলো না।অফ মুডে আছে। একসময় ভোরের ঘটনা ভুলে অজয়ও হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠলো। সারাদিন মস্তি করে রাতে যে যার ঘরে। সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে সবাই। ভোর রাতে “বাঁচাও বাঁচাও ” চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গলো। দেখছে নীতু ঘামছে আর চিৎকার করছে। অজয় দেখলো কাল যে বালিশটা ও নিয়েছিল আজ সেটা নীতুর মাথায়। বুঝতে কিছু বাকি রইল না। বন্ধুদের জানালো সব। এবার ঠিক হলো অজয়ের অন্য কোনো বন্ধু অন্য কোনো ঘরে ঐ বালিশটা মাথায় দিয়ে শোবে। হলোও তাই। সেই বন্ধু ঘুমাচ্ছে,বাকি সবাই জাগা। ভোররাতে একই ঘটনা ঘটলো। ওরা নিশ্চিত এই ঘটনা এই হোটেলেই ঘটেছে। যুবতীর মাথায় তখন ঐ বালিশটা হয়তো ছিল। সকালেই সবাই এল হোটেলের পিছনে। কোনো একটা জায়গা দেখে ওদের সন্দেহ হয়। খোঁড়া হয় মাটি। হোটেল কর্তৃপক্ষ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওরা সবাই পুলিশে কাজ করতো। আগেই লোকাল থানাকে জানানো ছিল। এক ভ্যান পুলিশ এল। এক এক করে যুবতীর গয়না, পোশাক ও কঙ্কাল উদ্ধার হলো। পুলিশ এক এক করে সিজ করলো সব। পুলিশ শুরু করলো তদন্ত। সবরকম সহযোগিতা করছে অজয় ও তার বন্ধু বান্ধব। শেষে অজয় শুধু বললো তদন্ত শেষে ও চায় মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি ও শ্রাদ্ধ করতে, যদি না মেয়েটির পরিচয় পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *