আকাশের বুক ভার হলেই বড় দ্রুত আঁধার নেমে আসে পৃথিবীর বুকে
নারকেল সুপারি গাছের পাতারাও বিদায়ী সম্ভাষণ জানায় আলোকের ক্ষীণতর সম্ভাবনাকে…
আলোর সমূহ উচ্ছ্বাসে ভিজে প্রভাতে ডানা মেলা পাখিরা ফিরে যায় নীড়ে…
প্রান্তরে ঘাসে ঘাসে জমতে থাকে নীরবতা
আঙিনার বেড়ার কোল ঘেঁষে চোখ মেলা নয়নতারাগুলো মাধুরী বিলাতে বিলাতে বাতাসে মিলিয়ে দেয় লবন বাষ্প…
আলো ছোঁয় কেন?
কেনই বা বৃন্তে জাগায় ফিকে বেগুনি প্রাণের সম্ভাবনা!
বাতাস ওড়ায় কেন?
পাখির ডানায় কেনই বা জাগায় ওড়ার উন্মাদনা?
পৃথিবীর ধূসরতা মেখে ঘরে ফিরতে থাকা একদল পথিক যখন দিনশেষে ফেরি করে ঝরে যাওয়া চাঁপার দীর্ঘশ্বাস –
তখন নৈঃশব্দের আমের বাগানে
আর্তনাদ মাখা বাঁশের বনে
অজপাড়াগাঁয়ের নুঁয়ে পড়া ভাঁটুই ফুলে আর চরজাগা যমুনার পাড়ে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর অমানিশার ছায়া…
হাওয়ার গতি বাড়ছে
দুলছে শনের ঝোপ উড়ছে ধুলো..
কর্কশ ডানাঝাপটানির শব্দে আরও একটা মায়াভরা দিনের বিদায় ঘোষণা করে গেল একদল চামচিকে..!