অনেক কষ্টে বন্দুক একটা জোগাড় করেছি
জানি অনেক বুলেট লাগবে আমার এখন।
দুনিয়ায় কাদের সংখ্যাটা বেশী
সেন্সাস হিসাবটা মেলায় যখন?
তবুও বুলেট আমি জোগাড় করবই
যে করেই হোক,
নতুবা, প্রত্যেকটি খেটে খাওয়া মানুষের হাড় দিয়ে, বানিয়ে নেব ভয়ঙ্কর এক বজ্র!
পার্টিজান কথাটার মানে আর আমার কাছে ঘোলাটে নয়,
জানি এ লড়াই সহজেই শেষ হবার নয়,
তবুও লড়তে হবে; চরম এ কথাটাই
শীতার্ত রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
শুয়ে শুয়েও কোমরের বেল্টটাকে কষে নিই
শক্ত করে।
বেয়নেটের ফলাটা অভয় দেয়,
বন্দুকটাকে সস্নেহে চুমু দিই,
বুলেট পাব তো কিছু আর?
নিশাচর পাখীদের ঝটপটে ডানার আওয়াজে
কখনো বা খড়পোরা নিরানন্দ বিছানায়
থমথমে পরিবেশ মুখরিত হয়।
তবু আমি পার্টিজান,
এ আনন্দে বুক ভরে শ্বাস নেওয়া হলে,
আকাশের তারাগুলো চুপিচুপি বলে,
কোনো এক ফুরফুরে কালঘুম ঘোরে
সেই সব হিংস্রচোখ নেকড়ের দল
শতাব্দীর সভ্যতাকে খাবে ছিঁড়ে খুঁড়ে।
অথবা কে বলতে পারে
হয়তো কোনো ভাগাড়ের নিরুদ্দেশ পথে
ওৎ পেতে বসে আছে রক্তচোষা বাদুড়ের দল
ধূর্ত চোখ মেলে!!
এদিকে আবার,
খেটে খাওয়া মানুষের মজ্জায় মজ্জায়
অনাহারে ঘুণ ধরে যায়!
নুয়ে পড়া শিরদাঁড়া অব্যক্ত বেদনায়
ক্লান্ত এক জিজ্ঞাসার চিহ্ন হয়ে যায়!!
কখনো বা হাতুড়ীর আঘাতে আঘাতে
পেশী গুলো ফুলে ওঠে দুধের বাছার!
কামার শালার, গনগনে আগুনের আঁচে
অফুরন্ত ঘাম ঝরে অনেক আশার।
মুখ তার হয়ে ওঠে ক্রমশই লাল গাঢ় লাল।
তবু থাকে পথপ্রান্তে তপস্বী বিড়াল!
বিপ্লবের ভেক ধরে অনবদ্য অভিনয়ে
চেতনাকে দিশাহারা করে।
তাই আজ সবল সক্ষম দুটো হাত
সুতীব্র আক্রোশে বেদনায় নিসপিস করে।
বন্দুকের নলটাকে ঝেড়েমুছে আরো সাফ
করে নিতে হবে।
বন্দুক পেয়েছি যদি
বুলেট কি পেতে দেরী হবে?