তুমি নেটে অন না থাকলে যে কি হয়
সেটা আগে ভেবে দেখিনি তো কোনদিন-
দূরত্ব যদি ভালোবাসা না বাড়ায়,
তোমাকে জড়িয়ে স্বপ্ন কেন আসে প্রতিদিন।
এ মোহ অঞ্জন মুছবে কি করে বলো-
যে সুধা আবেশে ভরিয়ে দিলে নয়ন,
জেট ল্যাগে চোখ জড়িয়ে এসেছে বটে,
তবুও বলবো, তোমার স্পর্শে এ দেহ উষ্ণ হোক।
আপন ভেবেছি সেই কবে থেকে জানো-
প্রথম যেদিন ছুঁতে দিয়েছিলে প্রিয় ,
যদিও সময় নিয়েছিলে সেইদিন,
একদিনে কেউ আপন হয় কি প্রিয়।
তুমি ছিলে দূর আকাশের নীহারিকা –
আমি পৃথিবীর মাটির কোলেতে থাকি,
তোমাকে তো দেখে অযুত কোটি মানুষ,
মাটিতেই বসে তোমাকে দেখতে আকাশেতে চোখ রাখি।
বিপন্ন হয়েছি ম্লানমুখে কতোদিন –
কতো তোফা ফুল দিয়েছে তোমাকে লোক,
কতো কেউ পায়ে গড়াগড়ি দিতে চায়,
আমি চেয়ে শুধু আঁধারেই মুছি চোখ।
ঈর্ষা হয়না সেটা বলবো না আমি-
তুমি যা জেনেছ তা জানে অন্তর্যামী।
ম্লানমুখে চেয়ে দেখেছি সে কতোদিন,
হৃদয় আমার হাহাকারে পোড়ে মানি।
বলেছ যদিও থাকবে না তুমি মাত্রই কটা দিন-
অক্সিজেনের অভাব মেটাবে কে?
মন যদি চায় ছুঁয়ে থাকি সারাক্ষণ,
পথে ও প্রবাসে তোমাকে খুঁজেছি যে।
পরম প্রাপ্তি সম্মতি যবে দিলে-
ভালো বেসে প্রেমে কেউ হয় শাহজাহান,
প্রেম সে তো জানি দেবতার মহাদান,
প্রেমের দেবীরা তবু কেন দূরে থাকে!!
অভিমানে ছুটি আসবে যে কোনো দিন-
সেইদিন সাদা চাদরে ঢাকা এ দেহ,
ধূপের ধোঁয়ায় আতরের মাখা মাখি ,
হয়তো কাঁধেই তুলে নিয়ে যাবে কেহ।
তবু চেয়ে রবো তোমার মুখেতে প্রিয়া-
ও মুখে আমার স্বর্গ ছোঁয়ার সুখ,
শ্মশানে কিংবা কবরে সে যাই হোক,
পাথরের বুকে কাঁদবো অহর্নিশ ।
ভালোবাসা মরে যায় নাকি কোনদিন,
শাহজাহান প্রেম মমতাজের ই তো শোক
আজও তাই প্রিয়া পথ চেয়ে বসে আছি
যমুনার জল যত ধুয়ে দিক চোখ।।
(“আমার সমাধি পরে, চরণ ফেলিও ধীরে ধীরে প্রিয়” কবি নজরুল )