বেশ কিছুদিন থেকে এই বৃষ্টিই চাইছিলাম
দিগন্ত-ডোবানো বৃষ্টি। ভুরুতে ঠেকিয়ে হাত আমি
গনগনে আকাশের দিকে কতদিন
তাকিয়েছি বারংবার, পরখ করেছি
নানান রঙের নানা আকাশের মেঘ।
কোন মেঘ বৃষ্টি নামায় এবং
কোন মেঘ জলহীন তার
আন্দাজের মুখে ফুলচন্দন পড়ে না সহজে।
আকাশ যে কীরকম প্রতারক হতে পারে, ঘটা করে
মেঘ-মেঘালির খেলা দেখিয়েও মাটিকে তৃষিত
রাখে দীর্ঘকাল,
এ-কথা অজানা নয়। প্রতীক্ষার পাথর হৃদয়ে
অন্ধের চোখের মতো থাকে
সকল সময়।
এখন আবার আসমান দিয়েছে উপুড় করে তার ভরা
কলস বদান্যতায়। খরাপোড়া খেতে
দাঁড়ানো চাষীর মতো ভিজছি, আমার রোমকূপে
ঝরে বৃষ্টিধারা, গলে যায়
আমার হৃদয়
বৃষ্টির পানির মতো, এই বৃষ্টি আমার আশ্রয়।
বৃষ্টির নূপুর থেমে গেলে কুমড়ো-ফালির মতো
চাঁদ ওঠে, উঁকি দেয় একটি কি দুটি তার আর
অকস্মাৎ একটি ভাবনা ঘুরে দাঁড়ায় ভয়ার্ত
পথিকের মতো-কাল থেকে ফের শুরু হবে না তো
একটানা ধূমায়িত খরা বহুকাল
আমার জমিতে?