আমারও সৈনিক ছিল কিছু-
মাথায় লোহার টুপি, সবুজ ইউনিফরম পরা,
হাতে রাইফেল। শৈশবের বারান্দায় নিরিবিলি
কল টিপে দম
দিলেই চকিতে ওরা কুচ-
কাওয়াজে উঠত মেতে। কি নিরীহ ভঙ্গি-
মুখে হাসি আঁটা। থেমে যেত
দম ফুরুলেই। আমি বড়
ভালোবাসতাম শৈশবের
সেই সৈন্যদের।
একদা হঠাৎ
আমার অনুজ
একটি সৈন্যের ঘাড় ভেঙে ফেলেছিল বলে আমি
তার সঙ্গে তিন
আড়ি দিয়েছিলাম আজও তা মনে পড়ে।
আমার সুদূর শৈশবের
ক্ষুদে সৈনিকেরা আজ যেন তিন ডাইনীর মন্ত্রে
ভয়ানক দীর্ঘকায় হয়ে ট্রাকে জিপে
শহরে টহল দিচ্ছে। যখন তখন
তেড়ে আসে আমার দিকেই
উঁচিয়ে মেশিনগান আর আমি পালিয়ে বেড়াই
জাঁহাবাজ সৈন্যদের দৃষ্টি থেকে দূরে।
কী আশ্চর্য এখন ওদের প্রত্যেকের ঘাড়
গাছের ডালের মতো মটমট ভাঙতে পারলে
আমি ভারি আনন্দ পেতাম।