সেটা ছিল একটা সাংঘাতিক রাত্রি
জঙ্গল এবং নদী এবং পাহাড় এবং আকাশ নিয়ে সে এক সাংঘাতিক রাত্রি।
আমরা তিনটি ছেলে নদী দেখতে এসে দেখতে পেলাম নদীর পাড়ে
বসে থাকা একটি মেয়েকে, সে মোজা সমেত পা ডুবিয়ে দিয়েছে জলে
আমরা তার খুব কাছে গেলাম, কিন্তু কথা বলতে সাহস পেলাম না
জলে ভেজা তার পায়ের মোজা দেখে মনে হলো সে এই পৃথিবীর কেউ না।
আমরা জঙ্গলে ঢুকলাম মদ খেয়ে, কিন্তু মনে হলো
পুরোটা জঙ্গল যেন মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে
গাছের নীচে ঘুঙুরের আওয়াজ, গিয়ে দেখলাম সেই মেয়েটি
কাছে গেলাম তবু সাহস হলো না
তার পায়ের ঘুঙুর দেখে মনে হলো সে এই পৃথিবীর কেউ না।
ভোর রাত্রে আমরা এলাম আকাশ এবং পাহাড়ের ঠিক মাঝখানে
যেখানে মেয়েটি শেষ রাতের চাঁদকে ডাকছিল
জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না এবং জ্যোৎস্না
মনে হলো মেয়েটির শরীরে মাত্র তিনটি উপাদান, জল বালি আর জ্যোৎস্না
জল ধরে রাখা যায় না
বালি তুমি শুধু বালি
জ্যোৎস্না এই আছে এই নেই
আমরা কাছে গেলাম কিন্তু সাহস হলো না।
টলতে টলতে ফিরে এলাম বাংলো
আমি বললাম, জলকে আদর করা যায় না
বাঁদিকের বন্ধু বললো, বালিকে জড়িয়ে ধরা যায় না
ডানদিকের বন্ধু বললো, জ্যোৎস্না কী সাংঘাতিক, ভালোবাসা যায় না।
আদর করা যায়, জড়িয়ে ধরা যায়, ভালোবাসা যায়
এরকম একটি মেয়েকেই আমরা চেয়েছিলাম
মুগ্ধ ভিখিরির মতো তাকিয়েছিলাম মেয়েটিরদিকে
যার শরীরে মাত্র তিনটি উপাদান—জল বালি আর জ্যোৎস্না।