খুবই খারাপ কেটেছিল তাঁর শেষক’টা মাস, আত্মজের
দিকে এক প্রবল ঘৃণার চোখে তাকাতেন, স্ত্রীর দিক থেকে
দৃষ্টি তুলে নিয়ে সন্ধ্যাকাশ দেখে ভাবতেন: এ দেহ পিঞ্জর!
কাল এরা জড়ো হয়ে আমাকে মেরেছে, দেখো পিঠে কালশিটে
অপমান আমি কি ভুলব? তবু একদিন গোপনে আমার
ঘরে ঢুকে রেখে গিয়েছিলেন গোলাপ আর সঙ্গে কিছু টাকা;
ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতাম যখন; উনি পথে কাঁদতেন।
অসুস্থ মনের মধ্যে নেমে কে আর নিজের মতো করে খোঁজে
নীহারিকা; বস্ত্রহীন তাঁকে হেঁটে যেতে দেখে স্ত্রী বলেছে: এ কে?
সমস্ত বারণ—হাঁটা, চলা, স্নান; রাত্রে দড়ি ছিঁড়ে তিন জ্বর
নিয়ে চন্দ্রালোকে চিৎকার করছেন মাঠে এসে, এই শীতে
কুকুর পালাচ্ছে; উনি দেখছেন জ্যোতির্ময় আলো, পরমার
সে কী রূপ, ড্রাগনের পিঠে চড়ে ছুটে চলেছেন, চোখ ঢাকা।
বাতাস উঠেছে আজ বাতাস উঠেছে ফের গভীর বাতাস।