লেবুপাতা নাকে ঘষি। ভাঙা সরাইখানায় ঢুকে কুমারীরা
অন্ধের চোখের সামনে অন্তর্বাস খুলে ফেলে দিল, সারারাত
বহু লাল স্ফটিকের জ্যোতিমুখ ফেটে যায়, রঙের গোলক
থেকে শত শত ট্রেন নৈর্ঋত লক্ষ করে উঠল দুর্গমে
সরাইখানার নাচঘরে চোর ঢুকে দেখে কাঁদছে অন্ধরা
চোর চাবি নিয়ে মৌরি খেতে খেতে অন্য ঘরে ঢোকে, হিন্দুস্থানি
মেয়েদের ঘর, একা পেয়ে কেড়ে নিচ্ছে টাকা, সোনার বোতাম।
বাবার মাথার কাছে দাঁড়িপাল্লা, একে একে সমস্ত পরিরা
ছেড়ে গেছে, খাবার ওজন করে খাবে, তবু ঈগল বিরাট
হয়ে নামে স্বপ্নে; চোর সেখানেও, গিয়ে বলি, কীরকম লোক
আপনারা? আসুন আমার সঙ্গে, এই বলে অর্ধেক বিভ্রমে
গিয়ে আমি ঢেলে দিই খালের ওপারে এনে টাকা ঘড়া ঘড়া
চাঁদের আলোয় আজও কানা বক বসে আছে, বলে ‘জানি জানি—’
চোরসহ একযোগে দেখি ছড়ানো টাকার রূপ আর দাম।