ডিম ফেটে গিয়ে ছিটকোচ্ছে মহাজগতের মধ্যে, অপূর্ব বিকেল
আমি চাই আরও বর্ণ চাই
হয়তো অবাক করে অল্প দিয়ে খুশি রাখো
লোনে বাড়ি করে দাও বনশ্রীর নামে
যদি কোনও দিন কাজে আসি, কোনও পরিবারের প্রধান হয়ে
যদি নিজের দেশকে ভাল লেগে যায়
যদি নিজের পয়সা দিয়ে সমস্ত প্রকৃতি— ধুবুলিয়া ঘুরে আসি।
দেহ নিয়ে এত চিন্তা এর আগে কখনও করিনি
কেবল কার্বন বলে মনে হত, যাকে বারবার ধুয়ে
পরিষ্কার করি, জামা খুলে
লুকিয়ে বিরলে দেখি ক্লেদ, অক্সিজেন
পাম্প করে নিচ্ছে আর ছেড়ে দিচ্ছে।
তেল দরকার
রোদ দরকার
রোদ পোহাবার ব্যালকনি, মালতীকনকে ঘেরা, সামনের মাসে
দুই সেট সোফা
এত যদি দাও
প্রভু, কলেজে প্রথম যাকে ভালবেসে ফেলি ছ’বছর আগে
তাকে নীচে রাস্তা দিয়ে একবার নিয়ে গেলে ভাল করতে না?
হে ঈশ্বর হে ঈশ্বর
বাইরে বেরিয়ে দেখি রোদ এসে পড়েছে পুকুরে
মনে হয় রোদ জল থেকে তুলে প্লেটে করে রেখে দিই
‘হাঁসগুলি ডাকিতেছে, আমারে হেরিয়ে’— ঋষি বলেছেন
এখানে দেহের প্রশ্ন আসতেই পারে না,
আমি বললাম: চোখ, সেই ফুচি, নিরন্তর জুজু
ওটিকে অগ্রাহ্য করা এতই সহজ? লজ্জা করবে না?
যাকে তৃপ্ত করে নাও রোজ
কার্নিসের ফুটো দিয়ে উঁকি মেরে
ঘরে কিশোরীরা বড় হয়
শুধু তাই নয়, যা দেখা যায় না
যেমন দিগন্ত
যার কোনও মানে নেই— বিলোনিয়া, পেট্রল, বর্ডার, বোমবিংয়ের পর
তিনটে পাপিয়া
এরপর সবটাই ধ্বনি, বাড়ির পেছনে
ছোটবেলা থেকে ছাদে উঠে শুনতাম
যদি নাই চিনি ঝোপ, ছেঁড়া ফ্রক পোকা ও বোতাম
তুমিও চেনো না: এই সব নিয়েই মর্মর
পাতা কাঁপলেই হল? তাকেই হিল্লোল বলে ছেড়ে দেবে?
পরীক্ষা না করে?
এই দেহ— যদি পুরোটা মর্মর বলে ধরে দিই
সখী ক্ষমিবে না?
মেধা?
মেধা আবদার করে? তার চেয়ে মেয়েটির উনিশ বছর
যার সব অন্তর্বেগ
স্ট্রাপে ও তরঙ্গে আটকানো
নেমে গিয়ে পান করো সোডাওয়াটার
বাইরে তখন পিঠে বেনি আছড়াক, কত আছড়াবে?
শোনো, মর্মর এখনও আমাদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়?
ধরে দেখবার রীতি নেই
যে দিনটি এইমাত্র শেষ হয়ে গেল কল্যাণীতে
তার কি তুলনা আছে?
ক’টা মেয়ে দেয়
ঠোঁট ধরে দেখবার উৎসাহ
যদি তীব্র হও
অসীম স্টেশনে আজ সবার সামনে দুই হাত দিয়ে ধরে বলো:
‘হাসো, প্রাণ খুলে হাসো অবাধ আমৃত্যু।’
দেহ নিয়ে এত চিন্তা এর আগে কখনও করিনি
বাড়ি চাই
আর রেডিয়োর মতো ছোট ফ্ল্যাট নিয়ে উঠে গেলে
সহ্য করো তরঙ্গ ঝামেলা
বিছানায়
উলটো করে খুলে দেখে উঠে আসো
তারপর ভয়ে ভয়ে দেখো শাড়ি, জড়ো করা উনিশ বছর
কত ভাঁজ, টুকিটাকি পুঁথি
দেবি, ততক্ষণে
আমি ঘুরে আসি
এসে দেখি প্রান্তরে বসানো টব
বাটির মতন ফুল, সেটা উপচিয়ে, তার থেকে উঠে
শাড়ি ঠিক করে নিতে নিতে রিনি নেমে আসে
কি মৌ গায়ে রেণু আর জামা
‘তুমি ঈশ্বরের মেয়ে, আজ কলেজ যেও না’
মাথার ওপর দিয়ে একটি অমল ফিঙে ডেকে উড়ে যায়
লক্ষ করো রিনি, শুধু আমরাই নই, সেও
জগৎকে প্রকাশ করার চেষ্টা করে গেল।