কত প্লাবনে কাটিয়েছি নিরাপদ
বজ্রকঠিন তোমার বক্ষে
পেয়েছি আশ্রয় জীবন অন্তরীক্ষে।
তোমার আঙ্গুল ধরেছি শক্ত করে
আকাশছোঁয়া অভিমান গেছি ভুলে
মমতা সকলি রেখেছো কর্তব্যের অন্তরালে।
অনেক ত্যাগের কাব্যগাথা সাজিয়ে
মানুষ বেশে এসেছ তুমি ঈশ্বর
অনন্য তুমি তোমার আলোকে অবিনশ্বর।
তোমার স্নিগ্ধ স্পর্শের গা ঘেঁষে
কষ্টের দুঃসাধ্য যে কাছে মোর এগিয়ে আসে
শতেক বন্ধনে রেখেছো বেঁধে সংসার মহাকর্ষে।
রুখে দাঁড়িয়েছ জীবনের অনন্ত মরুদ্দ্যান
শিকড় জুড়ে ছড়িয়ে রেখেছো প্রাণের সকল আশা
রুক্ষ শাসনের অধিকারে দিয়েছ অপরিসীম ভালোবাসা।
দুঃখ সিঞ্চনে মহীরুহ তুমি
আয়ু হয়ে আসে ক্ষীণ
প্রাণের পূর্ণতায় তুমি আজীবন অমলিন।
অশ্রুজলে অকস্মাৎ খুঁজি তোমায়
তিলেক যদি হারাই স্মৃতির দেশে
তখনই ভাঙ্গে ঘুম শীতল তোমার আবেশে।
জীবনের প্রতিপদে হয়েছ অনুপ্রেরণা
করেছ নাশ সকল প্রতিবন্ধকতা
তোমার অহংকারে মহান তুমি আমার জন্মদাতা।