“হে পূর্ণ তব চরণের কাছে…
যাহা কিছু সব আছে আছে আছে”….
বিবর্তন ঘটেছে শতাব্দী প্রাচীন কবিতার আদলে,
বদলেছে ব্যক্তি-মানুষ জীবনের সকল অভিব্যক্তি,
অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দেওয়ার ঐকান্তিক অভিলাষে স্ফুরণ ঘটেছে,
তবুও, কবি তোমার শিকড় আজন্মকাল প্রোথিত বটবৃক্ষে।
টুকরো টুকরো স্মৃতির কোলাজে তোমার কবিতার দীর্ঘ আনাগোনা,
অসচেতন জীবন-মৃত্যুর বিচ্ছেদের ঘ্রাণে
জমা পড়ে থাকে শৃংখলহীন সময়ের জটিল ব্যবধান,
ইতি টেনে যায় সকল বিবমিষা….
চামেলির শেষ ঘ্রাণ ছোঁয় তোমার উপস্থিতি,
বেঁচে থাকে ইচ্ছেরা সোঁদা মাটির গন্ধে,
বিগত শতাব্দীর রোদমাখা কার্নিশে জমা থাকে
তোমাকে হারানোর সকল অনুতাপ,
ফুরিয়েছে ধূপের ধোঁয়া,
তবুও, স্বপ্নীল হৃদয়ে নতুন পংক্তির উপলক্ষ্য হয়ে
বেঁচে আছো তুমি ভোরের আলোর নেপথ্যে…
শেষের কবিতার সুর-মূর্ছনায় জাগিয়ে রেখেছ স্পর্শকাতর’ পৃথিবীটাকে,
আজও মানবতার সাতকাহনে শোনা যায় তোমার মহিমান্বিত পদধ্বনি,
তবুও মুষড়ে পড়া আঁধার রাতও আবার বসে ভিজবে,
প্রচন্ড এক শ্রাবণ নামবে হৃদয় জুড়ে,
আবারও ধ্বংস হবে কত তাজা কবিতার প্রাণ,
সৃষ্টিও হবে আবার নতুন করে অবাধ্য প্রেমিকের মতো,
শুধু তুমি প্রাতঃস্মরণীয় থেকে যাবে আজীবন অবিচল জীবনের প্রতিটি পর্বে,
রইবে কবিতার প্রতিটি রন্ধ্রে,
পৃথিবীর প্রতি আলোকমালায় চির উজ্জ্বল রবে
তুমি, তোমার দীপ্ত কিরণে।