সুরেই থেকে,সুরেই রেখে,
আমার মতন তালকানাদের,
ধৃতরাষ্ট্রসমই অন্ধ যারা
গান্ধারী(গান + ধারী)দাও
দৃষ্টি মোদের!
তালের বেলায় চলন বলন
স্খলন যে হয়, নিনাদ পথের
তাই তো ব্যুহ চক্র জীবন
অপেক্ষমান সুরের রথের!
স্বরলিপির লিপি যে আজ
পূর্ণ রূপে গ্রীক ও লাতিন
তাল ফেরতা, ফিরতে গিয়ে
পথ ভুলি, নাচ তাধিন তাধিন
এ তাল তো হায়, দাদরা তো নয়
কাহারবা কী ইমন রাগে?
সব গুলিয়ে টিটকিরি পেয়ে
গিটকিরি গায় রাত বিরেতে!
তাই তো আমি তালকানা এক
বৃদ্ধ বটেই, ভীষ্মলোচন
গানের গুঁতোয় কাৎ হয়ে যাই –
অতীত ভেবেই সিক্ত লোচন!
তখন রঙিন জলসাঘরেই
মারি উঁকি, এ কোন সে কোন
গোঁত্তা খেয়েই পাল্টে পড়ি
অন্তরা সঞ্চারীর রোদন
মুখরাতেই আসতে গিয়ে
গুরুমশাই হন মুখরা
গান আমার আজ শব্দ কেবল
সুর তালহীন কী আর করা?