সংস্কৃতের ছাত্র সে এক
সুধায় পণ্ডিতেরে,
“ব্যাখ্যা করে দিন না আমায়
এই শ্লোকটিরে! “
“কি সে শ্লোক, বলরে ছোঁড়া
তোদের বিদ্যে বড়ই কম!”
“সেইটা – ও ধষেনি নপা মধু
ধষেনি নপা দ্যম! “
পণ্ডিত সে চুলকে মাথা
আকাশ পাতাল ভাবে,
এমন শ্লোক সে, হায় শ্রীহরি
শোনেইনি তো আগে!
নানান পূথি, গ্রন্থ ঘাঁটেন,
গ্রন্থাগারে গিয়ে,
তার সে সকল বন্ধুরা ফেল
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে!
নাছোড়বান্দা ছাত্রটি সে
সুযোগ পেলেই ধরে –
পণ্ডিত যে তাকে দেখেই
লুকিয়েই হা পড়ে!
সরাসরি দেখার পরে
স্যার তারে শুধালো,
” এ শ্লোক বাপু কোথায় পেলে
আমায় তুমি বলো! “
ছাত্র বলে ” হেডস্যারেরই
ঘরেরই সে বাইরেতে,
এ শ্লোকটাই পড়েছি স্যার,
আমিই সেইখানেতে! “
পণ্ডিত সে নিয়েই গেলেন
তাকে গো সেইখানে,
তবে শ্লোকটি পড়ে, ছাত্রটিরে
দিলেন তুলোধুনে!
রেগে আগুন পণ্ডিত সে
কারণ কি জানো লো?
কাঁচের ওপর সোজা লেখা
বাইরে সে দেখছিলো!
ভেতরের সেই লেখা পড়ে
চলে পণ্ডিতেরই বেত,
লেখা ছিলো – ” ধূমপান নিষেধ
ও মদ্যপান নিষেধ! “