ইংরেজি হলে বলে
same to you
বাংলায় যদি হয়
শেম টু ইউ
হয়ে যায় উল্টো এ
প্রতিবর্ণীকরণ
ভুলবোঝাবুঝিতেই
লাজেতে মরণ!
আমরা তফাৎ জানি
স – য়ে ও শয়ে
কিন্তু জানেনা এটা
আছে কোটি শয়ে।
তাতে হায় বাঙালির
কি বা আসে যায়
ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে
বুলি কপচায়!
ভুলছে বাঙালি আজ
বাঙলাটা ঠিক
বাঙালি মা বাবা রা
সত্যি হা ধিক!
স্কুলে স্কুলে আবেদন
লিখিত যে যায়
বাংলাটা যেন ঠিকই
তুলে নেওয়া হয়!
মাস্টার বাংলার
অনেক তো আছে
কিন্তু হা টিউশনে
টাকা দেওয়া ত্রাস হে!
বাদ যদি বাংলাটা
চলে বটে যায়?
বাংলার টিউশনে
মোটা টাকা বেঁচে যায়!
কি আর হবে জেনে
মনিষী ও খষি?
ইতিহাস চটকেছে
তাদেরই সে পিসি
কাকা আরা জ্যাঠারাও
এতে গো সামিল –
মনে হয় সব ছেড়ে
পড়বে ” তামিল “!
জানিনা এ হেনস্থা
কেন বাংলাকে?
বিদ্যাসাগর মান
দিয়েছেন যাকে-
মাইকেল, বঙ্কিম
রবীন্দ্রনাথ
তারাই ছিলেন বলে
আজও কেয়াবাৎ!
গরবী বাঙালী আমি
বাংলায় বুলি-
দিব্যি সে কপচাই
ইংরেজি তুলি
আজ সব কবিদের
স্থান শিশুমনে?
কেবল জন্মদিনে
এক দুই দিনে!
অভিভাবকেরাই হা
দিলেন যে ফাঁকি –
তাদের এই বাংলাকে
শেষ কাটা বাকি!