সেই খাঁকি আলখাল্লা
ঝুঁকে পড়া শরীর
শ্যামলীর বারান্দায়
পায়চারী ধীর!
তিনি বটে মহিরুহ
বাকি সব তৃণ
স্নেহপাশে বাঁধাে যারে
জিজ্ঞাসো কেন?
যত পণ্ডিতই হোক
তারই কাছে নত!
এক নয় দুই নয়
লক্ষ কোটি শত
আজও বেড়ে চলেছে তা
কমে না সে গতি
আহরণে লভে জ্ঞান,
এমনই তা অতি!
কথা যেই লিখলেন
সুর বেঁধে তায়
শৈলজা বৃন্দ গানে
বসন্ত রচায়!
এক নয় দুই নয়
কুড়িখানা গান
লিখলেন গুরুদেব
ভাঙতে অভিমান!
শৈলর রসায়ন
হলো দ্রবীভূত –
করলেন সঙ্গীতগুরু শৈলে
রসায়ন করে ভূত!
কিন্তু সে রসায়ন
পড়াবে হা কে?
স্বর্ণপদকধারী
আসবে কে সে?
অতএব রইলো
অমোঘ নির্দেশ
“নাগরিক” হতে হবে
সে যে দুই দেশ!
সকালে ” রসায়ন পুরের “
পাটটি গুটিয়ে
সাঁঝে এসে ” সঙ্গীত গড়ে “
ক্লাস বটে নিয়ে!
গান নিয়ে শৈল
চর্চা না করলে
যে কারণই হোক
পড়েন রবি চক্ষুশূলে!
এরে – ওরে – তারে শুধু
বলেন বৃথাই
“রসায়নে ওর মত
মর্কট সে নাই! “
“রসায়ন কি বুঝিবে
বেরসিক আহা
শত চেষ্টায় বুঝাতে
পারি না তাহা! “
প্রশান্ত শান্ত চিত্তে
যত বুঝিয়ে না বলে –
গুরুদেব আদপে তা
মানবেনা ছলে
শৈল বেবাক শেষে
বলেন – “হে গুরু!
রস বিনা সঙ্গীতের
নাই শেষ বা শুরু! “
“তেমনই যদি শুষেই
নেন প্রাণরস
রসায়ন ছাড়া মোর
জীবন নিরস! “
কিন্তু কোনটিতে শ্রেষ্ঠ
শৈল, বলো তাই?
গুরুদেবের আমলে যা –
আজও মিমাংসা নাই !
( শৈলজারঞ্জন মজুমদারের জীবনী থেকে তথ্য গৃহীত – স্নেহের ঝর্ণা এমনই ছিলো রবীন্দ্রনাথের)
শৈল = শৈলজারঞ্জন মজুমদার
প্রশান্ত = প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ