অভিমানটা মাঝে মাঝেই মাথা চাড়া দেয়,
অভিমান ভুললেও বুঝি অপমানটা ভোলা যায় না।
একরাশ তিক্ততা নিয়ে বিছানা ছাড়া।
সারারাতের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে, সাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা
ভোর বেলাতেই।
ব্যালকনির টবগুলো গরমে খটখটে হয়ে আছে।
একবালতি জলে সিক্ত করা হলো।
ছোট ছোট কয়েকটা পাখি, ঐ জলে আকন্ঠ পান করে তৃপ্ত হল।
তোয়ালে জড়ানো মাথায় লাল চায়ে চুমুক দিয়ে
ঋতু দেখছিল সবটাই।
পাশে রাখা প্রেগনেন্সি কিটে চোখ গেল।
কদিন ধরেই পড়ে আছে।
বাথরুমে গিয়ে পরীক্ষা করতেই,
জ্বলজ্বল করে উঠলো দুটো দাগ।
চোখেমুখে খুশীর ছটা।
ফোনটা ধরেও ফোন করলনা সুদীপকে।
মুখোমুখি জানাবে।
সারারাতের ক্লান্তি চেপে ধরেছে শরীরটাকে।
একজনের আগমনীবার্তা বহন করছে সে।
কোনো এক অজানা সুখ এসেছে দুহাত তুলে,
বুঝি শান্তির ঘুমে বিলীন করতে।