ফিরে এসো মৈত্রেয়ী,
আমি মির্চা,
ভালোবাসার অলিতে গলিতে খুঁজছি তোমায়।
ভুলে যাও লা নুই বেঙ্গলী,
অক্ষয় হোক নহন্যতে,
কি অসাধারণ অনুভূতি,
প্রেমকে সাজালে নতুন মোড়কে,
পারিনি, আমি পারিনি।
এসেছিলে তুমি আমার কাছে,
তোমার পদধ্বনি আমার অন্তরে দোলা তুলেছিল।
ফিরে গেলে তুমি,
সংসারে থেকেও শেষ দিন অবধি
তুমি ছিলে মননে।
মৃত্যুর থাবা এসেছিল জীবনে,
আত্মা তোমার কাছে মৈত্রেয়ী।
কোথায় তুমি?
তমসাঘন এ ক্ষণ,
এখানে নেই পরিবার,
নেই ভাষা,
নেই দেশকালের ভেদ।
নেই অভিযোগ,
নেই শাসন,
নেই হারাবার ভয়,
এ ক্ষণটুকু অমর করো তুমি।
এসো, এসো তুমি।
সেই তরুণ মির্চা,
সুঠাম দেহ,
টুকটুকে ফর্সা,
ঠোঁটদুটো গোলাপী,
কাঁদছে প্রেমিকার জন্য।
আলোআঁধারিতে দেখা যায়
শাড়ি পরিহিতা এক তরুণী।
এসেছে প্রেমের ডাকে।
মুখোমুখি দুজন।
চোখে জল।
ভুলে যাও মির্চা,
আমি থাকবো তোমার উপন্যাসে,
তুমি থাকবে আমার হৃদয়জুড়ে।
ভালোবাসা মিলনে শুধু নয়,
বিরহেও সার্থকতা আনে,
শুধু আগলে রেখো।
মৈত্রেয়ী দেবীর নহন্যতে ও মির্চা এলিয়াদের লা নুই বেঙ্গলী কালজয়ী প্রেম উপন্যাস। উপন্যাস দ্বয় মহাদেশগুলিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। জীবনের উপন্যাস, প্রেমের উপন্যাস। দুজন দুভাবে লিখেছিলেন। তবে মির্চার দৃষ্টিভঙ্গি অন্যরকম ছিল, যা ওনার উপন্যাসে প্রতিফলিত। শেষ জীবনে মৈত্রেয়ী দেবী ইউরোপ যান, ওনার সঙ্গে দেখা করতে। ফিরেও আসেন। মির্চা তখন অন্ধ। তারপর উনি মারা যান। কবিতাটি মৃত্যুর পর ওনাদের প্রতিক্রিয়া।