প্রগতিশীল সমাজ ভেবে বল আজ
যে মুহূর্তে রমণী পেল মৃত্যুর খবর
সধবার মুছে দিতে হবে সকল সাজ
গেল চলে অস্তিত্ব রেখে সাজানো ঘর।
আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায় তার আজ
সেই মুহূর্তে আজকের সমাজের এই কাজ
সান্ত্বনা দিতে থাকবে কিছু সময় পাশে
মৃত স্বামীর কাছে স্তব্ধ রমণী বসে।
রা কাটে না মুখে
পলক পরে না চোখে।
মানতেই হবে সেই অতীত ধর্মীয় রীতি
চিতায় পুড়বে দেহ এই হল নীতি
যতক্ষণ না অস্থি মজ্জা হবে ছাই
ততক্ষণ সধবা চিহ্ন শরীরে পাবে ঠাঁই।
অগ্নিকর্তা সেই ছাই ভাসালে জলে
রমণী বাধ্য সধবা চিহ্ন দিতে তুলে
শিক্ষিত গ্রাম্য সমাজও আঙুল দেখিয়ে বলে
সাদা থান কাপড় দেয় তার কোলে।
বদলে যায়নি আজও এই পরিস্থিতি
উঠে যায়নি অতীতের শ্রাদ্ধ ক্রিয়াকর্মাদি
ক্ষৌরকর্ম করে অশৌচ কাটিয়ে হবে শুদ্ধ
এই নিয়মেই নয় কি আমরা এখনও আবদ্ধ?
প্রগতিশীল সমাজ শ্রাদ্ধ-শান্তি করে আজকের দিনে
নিমন্ত্রিত লোক আসে খেতে নির্দ্দিষ্ট নিয়মভঙ্গের দিনে
বলতে পার কেন এখনও এই নিয়ম চলে?
কেন গ্রাম আজও গভীর অন্ধকারের তলে?