আশার পরিধি
মাথা নীচু করে একলা হাঁটছিলাম।হঠাৎ আমার হাতটা কে যেন চেপে ধরলো।মুখ তুলে দেখি,আমার দিকে চেয়ে মিটিমিটি হাসছে। দেখে মন ভাল হয়ে গেল।সে হেসে বললে,মুখে তোমার এমন হতাশার ছায়া?
আমার মন আমায় ছেড়ে চলে গেছে। যাওয়ার সময় বলে গেছে, তার লাইফ টাইম অফার শেষ, কি করি এখন। মন না থাকলে স্বপ্ন কি করে জাগে।স্বপ্ন আমাকে বলল মন যখন গেছে তখন আমারও ওয়ারেন্ট পিরিয়ড শেষ। সেও চলে যাচ্ছে। তাই তো ভাবনায় পড়েছি।মন, স্বপ্ন এদের ছাড়া কি বাঁচা যায়? সে বলল কেন তুমি আমায় বিশ্বাস করতে পার না? বিশ্বাস সেও চুক্তি পত্রের মেয়াদ শেষ হতেই পিটটান দিয়েছে। সেও বলেছে ভালবাসা এবার অবসর নেবে।বিশ্বাস ছাড়া ভালবাসা কি বাঁচে? তাই তো হতাশায় ভুগছি।ভাবছি ভালবাসা অবসর নিলে আমি ভালবাসা শূন্য হয়ে যাব। তবে কি করে আমি বাঁঁচব?মাছ কি জল ছাড়া বাঁচে? তাই আশার খোঁজে চলেছি।যদি খুঁজে পাই।এমন ভালবাসাহীন মানুষের কাছে বিশ্বাস যদি না থাকে, আবার মন নেই যার,স্বপ্ন দেখে না। সে আশাকে কোথায় পাবে? আমার কথা শুনে সে হতভম্ব।তবুও স্মিত হাসি হাসে।তার হাসি দেখে অবাক, স্তম্ভিত হয়ে জিজ্ঞেস করি,
কে তুমি?
আমায় দেখে অমন করে হাসছ কেন? বললে সময় হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।তোমার ভেতর সবাই আছে। কেউ কোথাও চলে যায়নি। তুমি শুধু আশাকে হারিয়ে ফেলেছ।দেরি না করে এখন চটপট করে আমাকে তোমার ভেতর পুরে ফেল।দেখ কি হয়। আমি ওর কথা মত ওকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই বিশ্বাস এসে ধরা দিল। মনটা ফুরফুরে হয়ে স্বপ্ন জাগল ভালবাসাও আর অবসর নিতে চাইল না। সে তখন বলল,ওদের তুমি ফিরে পেলে এবার আমায় ছেড়ে দেবে তো? বললাম কোন পরিস্থিতিতেই তোমাকে ছাড়ব না। তবে বুঝেছ আমি কে?আমি সেই আশা যাকে তুমি নিজের ভেতর খুঁজছিলে।এই পজিটিভ আশা সকলের মধ্যেই থাকতে চায়।এই আশা সাথে থাকলে কখনও হতাশায় ভুগবে না। আমি আনন্দে তার হাত শক্ত করে চেপে ধরে সামনে এগিয়ে গেলাম।