প্রদীপ হাতে রমণী সন্ধ্যায়
দাঁড়িয়ে একা তুলসী তলায়
নিভে গেল শিখা দপ করে
লাল সিঁথি ধূমায়িত গন্ধে পুড়ে।
তামাটে রঙ হারায় পশ্চিম দিগন্ত
লাল রঙে রাঙানো প্রিয়ার সীমন্ত
অস্তিত্ব মুছে রঙটুকু কেড়ে নিয়ে তার
বিধাতা দেয় তাকে সাদা কালো উপহার।
পরিধান করল শুভ্র বসন
কপালে দিল শ্বেত চন্দন
কপোলে নোনা স্রোত ধারা
বিমর্ষ সতী স্বামী হারা।
সোনার শিকলে যদিও ছিল বাঁধা
সোনার খাঁচায় ছিল অবাধ স্বাধীনতা
ভেঙে দিয়ে সাদা শাঁখা লাল পলা
বিধবা রমণী আজও বড়ই অবলা।
সুর্য ওঠে না ভালে গোলাকারে
জ্যোৎস্না ফোটে না রাঙা অধরে।
আয়না বলে না আর কোন কথা
পরে না পায়ে সে লাল আলতা।
নামাবলি জড়িয়ে নিয়ে গায়
জপমালা হাতে ঈশ্বর সাধনায়
জয় শচী নন্দন জয় গৌর হরি
বিষ্ণুপ্রিয়া প্রাণনাথ নদীয়া বিহারী।