মেঘের মধ্যে আমি আজ দেখলাম মেঘনাদকে,
সাদা মেঘের ভিতর থেকে আস্ফালনে কনক লঙ্কার যুবরাজ।
উন্নত শির মেঘনাদ, জাতীয়তাবাদী মেঘনাদ, পিতৃভক্ত মেঘনাদ,
মধু কবির মানসপুত্র মেঘনাদ আজও যেন অম্লান।
যখন বজ্রপাতের তীব্র নিনাদ গর্জে ওঠে, তখন তাঁর উপস্থিতি টের পাই,
প্লাজমা রেখার চকিত ঝলকানি’তে চোখ যখন ধাঁধিয়ে যায়-
মনে হয় মেঘনাদের দীর্ঘ অসি থেকে নির্গত অগ্নিশিখার চমক।
যেন মেঘের আড়ালে থেকে বলছে- ওহে শত্রু সাবধান হও।
মাঝে মাঝে মৃদু শব্দের আতিশয্যে ভেসে আসে গোপন কথোপকথন,
বিপথগামী পিতৃব্য বিভীষণকে বোঝানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা।
আমি সেই মেঘনাদকে দেখলাম মেঘের মধ্যে।
নিরস্ত্র মেঘনাদকে যজ্ঞাগারে চোরাগোপ্তা হত্যা মাইকেল মানতে পারেননি,
তাইতো তাঁর চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে বৃষ্টিধারা।
মেঘনাদ পরাজিত, তাও তিনি বীর- উদ্ভাসিত মধু কবির লেখনীতে,
মাইকেল তোমাকে বলছি–
আমি আজ মেঘের মধ্যে দেখলাম তোমার মেঘনাদ’কে,
অনুভব করলাম, কেন? কীসের জন্য, তিনি তোমার মানসপুত্র।।