অখিলেশ কুসুমিকার বিবাহ পর্ব সমাপ্ত৷
কুসুমিকা ভাবে এরকম গোমড়ামুখো বর!
এর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে হবে তাকে!
কুসুমিকা হলফ করে বলতে পারে,
বরের চেয়ে একশো গুণ বেশি সুন্দরী সে৷
বরের শাসন, বারণ শুনতে শুনতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত ,
মা বলেছে কুসুম, এটাই ভালোবাসা৷
একেক জনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ একেক রকম হয়৷
মেয়েদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়।
এবার নবাগত অতিথি আসলে ঠিক হয়ে যাবে।
অখিলেশ কুসুমিকা ডাক্তারের শরণাপন্ন,
টেস্টের রিপোর্ট দেখে অখিলেশ চমকে ওঠে !
কুসুমিকার আয়ু তো আর বেশিদিন নেই!
অখিলেশ চুল বাড়াতে শুরু করে।
বৌয়ের জন্য হয়তো কোনো দেবতাকে চুল দেওয়ার মানসিক আছে।
কুসুমিকার কেমো দেওয়া শুরু!
তার সুন্দরী বৌ কুসুমিকা কুৎসিত হয়ে যাবে!
কুসুমিকা লক্ষ্য করেছে বরের চোখে জল!
অনুতাপে কুসুম ক্রমাগত ঝরতে থাকে৷
কুসুমিকা দেখে বর ন্যাড়া মাথা কিন্তু তার মাথায় সুন্দর ঘাড় অবধি চুল৷
মা একটা কথা বলেছিল, সেই কথাটি কুসুমিকার মনে পড়ে।
অখিলেশ চিৎকার করে বলে ‘কুসুম তোমাকে বাঁচতেই হবে’!
যেদিন ডাক্তার ঘোষণা করলেন কুসুমিকা রোগমুক্ত,
সেদিন অমলেশ এমন উচ্চস্বরে হাসে কুসুমিকা বেশ ভয় পেয়ে যায়।
মনে মনে ভাবে আমার গোমড়ামুখো বরটি অধিক ভালো।