হিমেল শীতের বায়ে কাঁপে শিশু হায়,
গরম পোষাক তারা কোথা পাবে তায়।
পথ শিশু থাকে পথে নাম ধাম নাই,
কেহ বলে অনাথ যে পিতা মাতা নাই।
শীতের জ্বালায় কাঁপে ছেঁড়া কানি গায় ,
শীতে ধনীর আরাম দুখী কেঁদে যায়।
লেপ কাঁথা তাহাদের নেই কারো কাছে
খড়কুটো জ্বেলে তারা কোনমতে বাঁচে।
চটের বস্তা পেলে গায়ে দিয়ে সবে
জড়াজড়ি গুটিশুটি নিদ যায় তবে।
সহায় হয়না কেহ চাহে নাকো ফিরে
ক্ষুধায় কাতর শিশু ভাসে অশ্রু নীরে।
বরষার ধারা কিবা বেশি শীত হলে
অসীম দুখেতে শুধু বেদনাতে ঢলে।
মনে মনে শিশু দলে বসে বসে
ভাবে,
ধনীর মতন সুখ কবে তাঁরা পাবে।
বিধাতার কাছে শিশু অনুযোগ করে
জন্ম যদিগো দিলে দুখে নাও হরে
কেমনে সহিবো বলো মরে যাই শীতে
তুমি যে দয়াল হরি আমাদের মিতে।