গাঁয়ের রাখাল,একটু দাড়াঁও বলছি তোমায় শোনো,
সারাবেলা থাকো মাঠে ক্লান্তি কি নেই কোনো?
বলদ গরু দলে নিয়ে মাঠেই তোমার কাটে,
গোধূলিতে ক্লান্ত দেহে যাও যে ফিরে বাটে।
পথেরপানে অপেক্ষাতে মাযে চেয়ে
থাকে ,
ছেলের তরে ভাতটি বেড়ে ঢাকা দিয়ে
রাখে।
আসলে খোকন মায়ের তখন মনটা ভরে সুখে,
স্নেহের হাতে ভাতের গরাস দেয় যে ছেলের মুখে।
ভোরাই হলে রাখাল তুমি ধেনু লয়ে সাথে ,
বাঁশির সুরে হাম্বা রবে ধেনুরা সব মাতে।
লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষে ব্যস্ত থাকো তুমি,
বীজ রোপনে ধান চারাতে ভরে সকল ভূমি।
বাতাস ছোঁয়ায় সবুজ মাঠে ধান শিশুরা খেলে,
রাখাল ছেলের চোখের তারায় খুশির স্বপ্ন মেলে।
ভরবে যখন সোনার ফসল মাঠে রাশি রাশি,
মায়ের ভায়ের বোনের মুখে দেখবে খুশির হাসি।
সারাবছর নানাকিছু ফলাও মাঠে রাশে,
মটরশুটি,আলু বেগুন বাধাকপি চাষে,
কখন সখন মাঠের খালে কুচো মাছে ধরে,
সবাই মিলে উল্লাসেতে ফিরে চলা ঘরে।