পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে
জন্মেছিলে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়,
মাতা প্রসন্নময়ী পিতা কার্তিকেয় চন্দ্র রায়
দিকে দিকে খ্যাতি ধায়।
নাট্যকার সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ডি. এল. রায় নামে অভিহিত,
বাড়িতে সাহিত্য চর্চার পরিবেশ ছিল
অগ্রজেরা লেখক সম্পাদক নামে পরিচিত।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মাইকেল মধুসূদন দত্ত
দীনবন্ধু মিত্র বাড়িতে আসতেন,
কৈশোরেই উল্লেখযোগ্য কাব্য রচনায় তিনি
( ১৯০৫) পূর্ণিমা সম্মেলনের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১৩ সালে ভারতবর্ষ পত্রিকার সম্পাদক
নানান গীত ও কাব্যের রচয়িতা তিনি,
নাটক লেখেন, চার শ্রেনীতে বিভক্ত করা যায়
আর্যগাথা ও মন্দ্র কাব্যগাথা লিখেছিলেন যিনি।
প্রহসন কাব্য নাট্য ঐতিহাসিক ও সামাজিক
অনেক নাটক রচিত,
কল্কি অবতার, বিরহ, সীতা,
তারাবাঈ, নূরজাহান
রাণা প্রতাপ সিংহ, মেবার পতন, দুর্গাদাস
চন্দ্র গুপ্ত, সিংহলবিজয়, সাজাহান,
পৌরাণিক নাটক-পাষাণী, ভীষ্ম,
সামাজিক নাটক-পরপারে, বঙ্গ নারী বিখ্যাত।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সি শেষে
বিদেশ লণ্ডন থেকে ডিগ্রী আনেন,
ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ লিরিকস্ অফ ইন্ডিয়া
(lyrics of India)
বিদেশে বসেই লেখেন।
ম্যাজিস্ট্রেট পদ অলংকৃত করেন
সহধর্মিনী সুরবালা, পুত্র দিলীপ রায়,
ইংরেজ গভর্নরের সাথে বিবাদ করেন
কৃষকের অধিকার রক্ষায়।
“ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা”
তাঁর বিখ্যাত গান,
“বঙ্গ আমার জননী আমার ধাত্রী আমার
আমার দেশ
গানে ধরে বঙ্গের মান।
দ্বিজেন্দ্রগীতি সৃষ্টি করে অমর
পাঁচশত গানের রচয়িতা যিনি,
১৭মে ১৯১৩ সালে কলকাতাতে
পরলোকগমন করেন তিনি।