কটুক্তি করলো কত তোমায় নিয়ে ধরণী
তবুও তুমি শান্তি দিলে একটুও রাগ করোনি।
নিদাঘ আতপে জ্বলছে যখন সমস্ত চরাচর,
দাবদাহে প্রাণ যায় যায় অস্থিরতা তীব্র প্রখর।
দিশেহারা অসহায় মানুষের নানান কটুক্তি,
কালবৈশাখীর নেই দেখা, মনে খেদ বিরক্তি।
জীমূত বুঝি ভুলেছে পথ গেছে অন্য দেশে,
হঠাৎ চমক ধেয়ে এলে স্নিগ্ধ বারিষ বেশে।
ঝমঝমাঝম বৃষ্টি সুধায় ভরালে বসুন্ধরা,
বিজলী ঝলক সঙ্গে ভীষণ বজ্রনাদ কড়া।
মুহূর্তে প্রাণবন্ত তরু লতা শাখী,
প্রশান্ত জীবকুল খুশিতে ওড়ে পাখি।
চাষির মুখে হাসি, ফসল পায় জল,
ঝলসানো খেত ভিজে সতেজ ধরাতল।
শীর্ণ নদী জলে থৈ থৈ, মৎস্যকুলের হাসি,
প্রাণের মাতন প্রকৃতি মাঝে উদ্বেলিত রাশি।
ধরণী মাতা তুমি সর্বং সহা সয়িষ্ণুতার আধার,
তোমার করুণায় জীবন হয় সুখের পারাবার।
কত অত্যাচার সহ্য করো মানবজাতির তরে,
ক্রোধ না করে তবু ধন ধান্যে দাও প্রকৃতি ভরে।