তুমি আকাশ পারে ফুল ছড়ালে কে গো সোনার মেয়ে,
আবার উড়িয়ে ডানা কাজল পানা ভাসলে আকাশ প’রে।।
তোমায় চেয়ে ব্যাকুল হয়ে বাতাস হল ক্ষীণ,
বাদল দিনে তোমার ছায়ায় বাজবে মনের বীণ।
সুরের ঝরণা তলার পারে, ঝিরি ঝিরি বাদল ধারা ঝরে অঝোর ধারে,
মন যে কেমন করে, বিরহিয়া বাঁশী বুঝি মন উতলা করে।
আনন্দে মন উদাস হল, কোন বিরহী পথ ভুলিল,
কদম কেশর যুঁই মালতী সুবাস বিলায় কারে।
সুরের হাওয়া লাগলো মনে, বর্ষা মুখর বাদল দিনে,
মিলন সুখের প্রবল টানে, মন যে কেমন করে।
বৃষ্টি স্নানে প্রিয়া আমার দুলছে মেঘের সনে,
এবার বুঝি ফুটবে কলি, প্রসব ব্যথায় উঠবে দুলি,
ফুল থেকে ফল হবে বলি, সৃষ্টি সুখের পারে।
প্রভাত রবির অরুণ আলোয়, আঁধার পারে রাত পোহাল,
আনন্দ গান উঠলো বাজি,বিশ্ববীণার তারে।
বাদল দিনের মেদুর বেলায়, প্রাণের সুধা এমনি হারায়,
রূপে রসে সিক্ত ধরায় গানের সুরাঞ্জলি।
রোদন দিনের অবসানে, বেদন ব্যথা ঘুচল প্রাণে,
স্নিগ্ধ স্নানে সিক্ত ধরা প্রাণরসে উচ্ছলি।
শিখি পাখার পেখম তুলে, কৃষ্ণমেঘের সোহাগ মিলে,
কুহু-কেকার মিলন মেলায় বিবশ কে হয় ওরে।
আজকে আমার মন মেতেছে, বাদল মেঘের সুর বেজেছে,
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মোর মন যে কেমন করে।