সে ছিল শীতলকুচি গ্রাম–
সোনামুখী পার হয়ে,পুকুরের পাড় ধরে
কতবার, কতবার হারিয়ে যেতাম।
শ্যামলী দুধেল গাই, আনমনে তোলে হাই
ভাঙা ঘাট দীঘিটির পারে।
তোমার পথের পানে, চেয়ে থাকি আনমনে
চলে যাই রূপসার ধারে।
যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে,নিশিভোর শিশিরেতে
তারি ধ্বনি আজো বসে কান পেতে শুনি,
মাঠের ঘাসের প’রে পদচিহ্ন শতবারে
হয়ে আছে স্মরণিকা মানি।
যে সবুজ বনবীথি চোখেতে রয়েছে ভাসি
কেমনে ভুলিব স্মৃতিখানি।
অতীতে হারিয়ে যাব সুখ-দু:খ শত শত
কানে কানে কত কথা বলে যাবে জানি।
পুরাণো সে স্মৃতি কথা, যত ভাবি তত ব্যথা
যেন বাজে মনের গহীনে;
হারিয়ে গিয়েছি তাই, ফিরে ফিরে যেতে চাই
ঘাট ভাঙা দীঘিটির পানে।
ওখানে লুকানো আছে,ওখানে হারিয়ে গেছে
শৈশবের, কৈশোরের মুগ্ধ স্মৃতিখানি।
সে ব্যথা ভুলতে যাই বেদনা বুকেতে পাই
অবরুদ্ধ কান্না আসে নামি।
এ জীবনে বার বার যদি আসে সে বিচার
কোথা চাও জীবন জুড়াতে–
বলে যাব বারে বার বুক চিরে দেখো তার
লেখা আছে গভীর বুকেতে।
সেই স্নিগ্ধ গ্রামখানি, ভালোবাসি যারে আমি
আর কিছু পারে কি ভোলাতে!
আজও সেই গ্রামে যাই কতো স্মৃতি খুঁজে পাই
আজও কতো ভালো লাগে সে গ্রামে বেড়াতে।