বাঙালির বৌদি প্রীতি
বাঙালি জাতি চিরকালই বেশ রসেবসে থাকতে পছন্দ করে। ওই দেখুন, মধ্যবিত্ত বাঙালির খাটের তলা থেকে উঁকি মারছে ঝাঁটা। তাঁর টেবিলের ড্রয়ারে খুঁজলে অবশ্যই আধপোড়া বিড়ি পাওয়া যাবে। প্রতিটি বাঙালি পুরুষ কিন্তু এই ‘২৪ সালেও এক একজন স্বঘোষিত বাথরুম সিঙ্গার ! বাবু কালচার এখন আর নেই বটে, কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে বাঙালির বৌদি প্রীতি ! চমকে উঠলেন ? বাঙালি পুরুষের বিয়ে করা বউটা যেন কেমন একটা ! সবসময় দজ্জাল টাইপের কথা বলে । সেতুলনায় তাঁর প্রতিবেশী বৌদি যেন স্বর্গের অপ্সরা ! ঠিকরে বেরোচ্ছে তার রূপের আগুন ! সেই প্রতিবেশী বৌদি যখন রোজ সকালে ছাদে উঠে কাপড় মেলে, তখন পাশের বাড়ির ঠাকুর পো’র মনটা যেন আনন্দে আকাশে ডানা মেলে ! রাস্তায় দেখা হলেই ঠাকুর পো’ একগাল হেসে বৌদি কে বলেন ” কেমন আছেন বৌদি ?” বৌদি ওমনি স্মিত হেসে বলেন ” যেমন রেখেছেন আপনি ! তা একদিন আমাদের বাসায় আপনার পদধূলি পড়ুক !” উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে ঠাকুর পো’র ! ” অবশ্যই একদিন যাবো “! পুরো ব্যাপারটা যখন বাঙালি পুরুষটির বিবাহিতা স্ত্রী আঁচ করতে পারেন, তখনই যেন গোল বাঁধে ! স্বামী স্ত্রীর সুখী দাম্পত্যে যখন তৃতীয় মানুষের আগমন ঘটে এইরকম ভাবে, তখনই যেন বিবাহ বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে ! মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরির মতো যখন কখনও রোম্যান্স, তো আবার কখনও বিরহ খেলা করতো, আজ যেন সেখানে শুধুই অশান্তির কালো মেঘ ! বাস্তবে ইদানিং যেন পরকীয়া প্রেম একটা স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।।