এই যে চেনা নীল বাগিচার শরীর জুড়ে নিত্য ফুটে ওঠা অগনিত আঘাতের ফুল –
তা শুধু তোমাকেই নিবেদন করে যাবো।
দুচোখের বালুতটে নিরন্তর ধেয়ে আসা নোনা ঢেউ –
তা শুধু তোমারই চরণ স্পর্শ করবে।
আর প্রতিনিয়ত দহনের যে দগদগে ক্ষতগুলো জ্বালা ধরায় আমার সবকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে –
তার প্রতিটা আর্ত চীৎকারে উচ্চারিত হবে শুধু তোমার নাম।
আর একবার জ্বলে উঠুক দীপশিখা…
যে অনির্বাণ শিখা সৃষ্টির আদি থেকে সকল অন্ধকারের পর্দা সরিয়ে দৃশ্যমান করেছে আদিম অসুস্থতা বর্বরতা আর বিকৃত হৃদয়ের সমূহ কানাগলি!
তারপর …তারও পর…
বুকভরা কালিতে ফুরিয়ে যেতে যেতে রচনা করেছে নিজেকে পোড়াবার ইতিহাস!
আরেকবার জ্বলে উঠুক সেই শিখা।
এই আমি হাত রাখলাম প্রজ্বলিত অগ্নিশিখায় –
আর একটা নতুন সভ্যতার সৃষ্টি রহস্য শুধু তোমারই জন্য লিখে যাবো আমি।