কাকে ভালো বলবো
কাকেই বা খারাপ বলবো ?
এরা কেউই ভালো নয়
এরা কেউই সুবিধের নয়
সব করে দিলাম
সব এগিয়ে দিলাম
সবকিছুর বন্দোবস্ত পেতে পেতেও একটুখানি ত্রুটি থাকলেই
বেজায় ভারী মেজাজ তার ;আগুন দাউ দাউ
এরা আমাকে বোঝার চেষ্টা করল না কেউ।
এরা জ্যান্ত মানুষ হলেও
এরা মরা বৃক্ষের চেয়েও ভয়ংকর
সুবিধের চাদরে মোড়া বাগিচায় এরা বড়ই রূপঙ্কর
এদের সংস্পর্শ ,সান্নিধ্য, জীবনের অভিশাপ
এরা আমার আয়ু ক্ষয়ের মাস্টারমাইন্ড উত্তাপ
কি না করেছি ওদের জন্য ?
পরিশ্রম, সাধনা, প্রতিজ্ঞা, দায়বদ্ধতা
এগুলো সবই সঁপে দিয়েছিলাম ওদের জন্য
তবুও আমি ওদের চোখে খুব খারাপ, খুব জঘন্য ।
এখন মুহুর্ষ রোগীর মত বেঁচে আছি যেন
ওদের হাতের তালুর ওপর
যেমন খুশি তেমন নাচায় ওরা, কখনো মারে সপাটে থাপ্পর
কেন ছুটে যাই?কেন ফিরে পাই ?কেন যে তাকাই ? এগুলো সব-ই হাসিমুখে এই——
ভালবাসা ভালোবাসা খেলা হলো পাপের গহ্বর,
সাধু আমি হই যতো
ওদের চোখে আমি পাপী হই ততো
ওরা মারবেই মারবে আমার গালে
আমি নিশ্চিত ওদের চর-থাপ্পর চাটি আছে আমার কপালে ।
নিরুদ্দেশ পথের পথিক হতে চাই আমি
সাথী হারা পথিক হয়েও তবু খুঁজে চলি কিছু সম্পদ দামী
অবশেষে নিঃস্বহাতে ছুটতে গিয়ে যদি পাই সেইগুলো
ওদের সাথে করলাম বিচ্ছেদ, নিলাম গায়ে মেখে এই পথের ধুলো
আমার এই চলার গতিতে
ওরা নেই কোন এই অনুভূতিতে ।
ওদের কাছে আমি একটি মন্ত্রের আসল চিত্র
কত টাকা এনেছি, কত টাকা দিয়েছি, এর মধ্যেই ওদের চরিত্র
আমার ভুলে যাওয়া সেই মূল মন্ত্র
আমি ভুলে যাব ওদের কঠিন ষড়যন্ত্র
আমি খুঁজি মানবতা,ওরা খুঁজছে অমানবিক গণতন্ত্র
এই কঠিন প্রজাতন্ত্র, রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ষড়যন্ত্র, আরও কত কত গোপন মন্ত্র, তারই মাঝে আমি খুঁজে চলেছি আজও সাধারণ জীবনতন্ত্র
হে প্রভু, হে প্রভু, আমাকে করে তোলো তুমি আরো স্বতন্ত্র।