বিচিত্র সেই রামধনু ঘাটশিলায় বেড়াতে গিয়ে ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার আলাপ।

সহচরী আমি সব সময় ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি। ছেলেবেলা থেকেই

শীতের মাঠ সারাটা দিন মাঠ মুখে করে বসে থাকা। গ্রীষ্ম

যযাতি বায়না করতে নয়, আগেভাগে একটা আঁচ নিতে এসেছিল ওরা।

গগনের অসুখ “এই নে, ছবিটা দেখ। আলোর জন্যে মুখগুলো ফরসা

নদীর জলে ধরা-ছোঁয়ার খেলা নদী এখানে তেমন চওড়া নয়। তবে

সংশয় একরত্তি পাখিটার কাণ্ড দেখেই যেন সুনয়নী হেসে ফেললেন। বয়সের

বসন্ত বিলাপ অতি তুচ্ছ ঘটনা থেকে অনেক বৃহৎ কাণ্ড ঘটে

নিষাদ “You begin, by killing a cat and you end

জননী আমরা ভাইবোন মিলে মা-র পাঁচটি সন্তান। বাবা বলত, মার

দূরে বৃষ্টি আরে, নিন না। কী আশ্চর্য! লাইটারটা নেবেন তার

এরা ওরা কাল সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল। প্রথমে এল একটা

পার্ক রোডের সেই বাড়ি যদিও ঠিক তা নয়, তবু ও

র‍্যাটকিলার ক্যানটিন থেকে ফিরে এসে মুরারি দেখল, তার টেবিলের সামনে

আমরা তিন প্রেমিক ও ভুবন নদীর চরায় শিবানীর চিতা জ্বলছিল।

বকুলগন্ধ ঠিক কানামাছি খেলা নয়; তবে কানামাছির মতনই। কে যেন

উদ্বেগ সারাটা দিন আকাশ ময়লা হয়ে ছিল। কখনও আধ-ফোটা রোদ

আত্মজা হিমাংশু স্বামী; যূথিকা স্ত্রী। ওরা বছর পাঁচেকের ছোট-বড়। দেখলে

বরফসাহেবের মেয়ে “তাহলে একটা গল্প বলি, শোনো—” পাঁচুদা বললেন, “গল্পটা

পলাশ ওখানে পলাশ ফুটেছে। ফাল্গুনের এই গোড়াতেই গাছগুলোর গা-মাথা লাল

নিগ্রহ আমার ঘরে মুখার্জি ছেলেটিকে পৌঁছে দিয়ে চলে গেল। আমি

শূন্য কার কথা দিয়ে শুরু করব বুঝে উঠতে পারছি না।

সুখ কাল নজরে পড়েনি; আজ পড়ল। কাল শুভেনদের পৌঁছতে পৌঁছতে

সোপান প্রথম টাঙ্গায় বাবা, মা; পরেরটায় দিদি আর পুষ্প। শেষের

পিঙ্গলার প্রেম ভোরের ট্রেনে এসে পৌঁছল ওরা। তখনও ভাল করে

পালকের পা সেই দুঃসহ দিনে, মধ্যবৈশাখে, যখন আকাশ গলানো-তামার মতন

আর-এক জন্ম অন্য মৃত্যু দেশলাইয়ের কাঠির মতন ওর হাসি ফস্

হেমাঙ্গর ঘরবাড়ি রবিবার সকাল থেকেই হেমাঙ্গর দু হাত ভরে কাজ।

হেমন্তের সাপ হেমলতাদি আমাদের নেমন্তন্ন করেছিলেন। কয়েক জনকে। সাধারণ নিমন্ত্রণ।

বাঘ শচী ভেলভেট পোকার টিপ পরতে খুব ভালবাসে। কিছু টিপ

সত্যদাস সেই কোন ব্রাহ্মভোরে কচি রোদ উঠেছিল একটু। মুখ দেখিয়েই

সুধাময় আমার বন্ধু সুধাময় আমায় শেষ চিঠি দিয়েছিল মাস পাঁচেক

অপহরণ মাত্র কয়েকদিন আগে উমাপ্রসাদ দত্ত-র মৃত্যুসংবাদ খবরের কাগজে ছাপা

সম্পর্ক দুধের কাপ টেবিলে নামিয়ে রেখে অনিলা সামনের চেয়ারটায় বসল।

তুচ্ছ পাতলা করে সিগারেট পাকাচ্ছিলেন বরদা। পায়ের সাড়া পেলেন। বুঝলেন,

ওরা টেলিফোনটা আবার বেজে উঠতে গোপীমোহন ফুলেশ্বরের দিকে তাকাল। ফুলেশ্বর

দুই বোন নিরুপমা আর অনুপমা। ছোট ক’রে নিরু আর অনু।

মানবপুত্র শালবনীর মেলায় আবার দেখা। ডাক শুনে মুখ ফেরাতেই কে

অশ্বত্থ যতক্ষণ না অফিসে যায় নবনী—তারপর রেণু একা, এ বাড়িতে।

অপেক্ষা অগোচরে সন্ধ্যা নামল। ধূসর অন্ধকার অবশিষ্ট আলোর রেখাগুলি মুছে

সে আজকাল আমি অনেক কিছুই আর অবিশ্বাস করতে পারি না।

ইঁদুর অল্পের জন্য বেঁচে গেছে যতীন। আর-একটু হলেই ডান হাতের

মোহনা ময়না এসে হাসিমুখে বলল, “আমায় একটা ছেলে যোগাড় করে

ত্রিলোচন নন্দীর নামে ছড়া শীতের দিনে রবিবারের হাটে একটা লোক