বাদাম পাহাড়ের যাত্রী বাংরিপোসির বাংলোর অন্ধকার বারান্দাতে পাশাপাশি ওরা দুজনে

শান্তুকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ অফিসে খুব খাটুনি গেছে। বাড়ি

টিটিচিকোরি ভবানীপুরের গঙ্গাপাড়ের একটি জরাজীর্ণ ভাড়াবাড়িতে রায়পরিবার থাকতেন আজ থেকে

ফটকে ফটকে সারারাত আলা পাহারা দিয়েছিল। এই আলায়, এই ভেড়িতে,

ওয়ার্ল্ড-কাপ, এবং… একটু আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে এক পশলা। আজাদ

আলঝাইমার এ কী! তপেনদা! হঠাৎ এদিকে কী মনে করে? লিফট-এর

সন্তোষ এবং একটি সেদ্ধ ডিম এবারে কোথাওই বৃষ্টি নেই। শান্তিনিকেতনেও

জে ফর জেলাসি দেরিটা নেরুলকারের সঙ্গে মিটিং-এর জন্যেই হল। বৃষ্টিও

গানের সামুকাকা বাইরে বিকেল হয়ে এল। জীবনেও বিকেল হব হব।

লেখক হওয়া কলকাতা থেকে শ্যামল এসেছিল। আজই ফিরে গেল। ওকে

বাঘের দুধ ডানদিকে কোথায় চললি রে শালাতেহারের পথ কি এদিকে

দুঃসময় রাত তখন সাড়ে এগারোটা। ফোনটা বেজে উঠল। রিসিভারটা তুলে

স্বামী হওয়া মহুয়া মিলন থেকে আসা ট্রেনটা টোরী স্টেশনে ঢুকছিল।

কাজিরাঙা ক্যালকাটা ক্লাবে গত শনিবার হঠাৎ মণীসদার সঙ্গে দেখা সুব্রতর।

অন্য রকম সুমিত্রা ফোন করেছিল। বলল, নির্মলদা, অলকাদি এসেছে। কবে?

হাটগামারিয়ার আয়না বাসটা ধুলো উড়িয়ে চলে গেল। ওরা তিন জনে

কাঁচপোকার দিন বৈশাখের দুপুরের একটা নিজস্ব গায়ের গন্ধ আছে। সে

আপাত শুভ্র আমার সঙ্গে পতুবাবুর, মানে পতুমেসোর আলাপ, বলতে গেলে

ইঁদুর -1 একটা ইঁদুর খাটের তলা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে সোজা

বাইয়ানী একটা তিনছক আছে। বালিয়াড়ি আর ঝাউবনের ভিতর দিয়ে দীর্ঘ

কিরণকাকুর শ্রাদ্ধ অফিস থেকে ফিরতেই বাবা বললেন, রতন এসেছিল কিরণবাবুর

ছানি আজ মহাষ্টমী। এবারে রবিবার পড়ে গিয়ে সপ্তমীর ছুটিটাই মারা

বানপ্রস্থ লাইমুকরা থেকে বাসে চেপে এসে বসন্তবাবু পুলিশ বাজার আর

ম্যাথস বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশে চড়ার অঙ্কই হোক, কী চৌবাচ্চার জল

ঝুমরি-তিলাইয়ায় অনিকেতকে ট্রেনটা কোডারমা স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল গয়ার

বুলির পা রাসবিহারী অ্যাভিনিউ আর ল্যান্সডাউন রোডের মোড়ে লাল আলোতে

মুন্নির বন্ধুদের জন্য এমনিতেই কয়েকদিন হল এক চাপা টেনশনে ভুগছি।

নাশা সারা দিন কাজে একেবারেই মন বসছিল না নিমেষের। বড়োবাবু

সাইকেল তুমুল বর্ষা। চারা রুইবার সময় আসতে-না-আসতেই যেন ভাদ্রর শেষের

প্রান্তিক মিস্টার হোড় বললেন, ব্রিলিয়ান্ট, সত্যিই ব্রিলিয়ান্ট। আসলে একা মিস্টার

তিস্তা প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে হু-হু হাওয়ায় সকালের রোদে দাঁড়িয়ে তিস্তার

কুকুর-মেকুরের গল্প মামা। অ মামা! দেকিচো, এরা ক্যানাল বানানও জানে

শেষ-বিকেলের প্যাসেঞ্জার চৌপান প্যাসেঞ্জারের গতি কমে এল। জানলা দিয়ে মুখ

ডিড ইউ ডু ইট? অশেষেরও বিয়ে হয়েছিল মুঙ্গেরে। যদিও অনেক

স্বর দূর থেকে সমুদ্র দেখা যাচ্ছিল। যুবক সকালের চোখ ঝলসানো

শারদপ্রাতে পুজো তো আসছে, এসেই গেল, এবার পুজোয় কী করবি

তা প্রথম দিন অফিস থেকে ফিরে প্রমীলাকে দেখেই চমকে উঠেছিলাম।

সামিল পার্ক স্ট্রিট আর সার্কুলার রোডের মোড়ে এসে বাসটা হঠাৎ

কম্পাস কুকু-র সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে গেল সেদিন আমার এক

নবীন মুহুরি সামনে খেরোর খাতাটা খোলা ছিল। খতিয়ান। জাবদা থেকে

একজন ইডিয়টের গল্প বহুদিন পরে পুরীতে এলাম। এসে পুরী এক্সপ্রেস

গন্ধী একটু আগেই এক পশলা জোর বৃষ্টি হয়ে গেছে। কাক

খেলনা শেষের বাসটি চলে গেল। ইম্ফলের দিকে। চৈতি বারান্দায় দাঁড়িয়ে

ঝুলা বোম্বে শহরের এই দিকটি বেশ নিরিবিলি। দোকান-পাটও কম। কাফ-প্যারেডের

মাপ এ কী! হাতল দুটো এরকম করলেন? আঁজ্ঞে? কী যে

ব্রন্টি দিনের কাজ প্রায় শেষ, এবার উঠব অফিস থেকে। ঘড়িতেও

আমাদের সময়ে পাটাদার বড়ো ছেলে বিলুর বউভাতে বহু বহু বছর

আইনানুগ ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। ভারতের সব রাজ্যেই শিকারের

ভি সি আর রুরু কোথায় গেছে? সীমা বারান্দায় এলে সৌম্য

পহেলি পেয়ার হাঁটা পথে মাইল তিনেক পড়ত। পঁয়তাল্লিশ মিনিট থেকে

লিখন এখনও রওয়ানাই হওয়া গেল না। কখন যে কী হবে

চিন্টুদের বাড়ি আজ অফিস যাইনি। ছুটি জমে গেছিল অনেক। বাইরে

ভগবানের ভাগনে স্কুল ছুটি হতে আর দু-দিন বাকি। সুকোমল মা-বাবার

সারগুনা পাখি ও ঝিঞ্চিটি মাতাজী ছোটোনাগপুরের যে অখ্যাত শহরে লেখার

বাখরাবাদের ভুবন বউদিরা সকলেই ভুবনকে ভালোবাসতেন। ওর মাথার একটু গোলমাল

পুতলি বাই কী গোলি রমিতা খাটে বসে ছিল। জোড়াসনে। কোলের

সাঁঝবেলাতে তোমার হাসিটি কিন্তু ঠিক সেরকমই আছে। তাই? হুবহু। রুবি

মিছিমিছি ভাইফোঁটার পরে স্কুল খুলেছে বেশ কিছুদিন হল। মডার্ন স্কুল

দূরবীনের দুদিক মেঘের এইমাত্র ঘুম ভাঙল। সারা রাত টাপুর-টুপুর করে

বাবা হওয়া ডাকবাংলোটা থেকে নদীটা দেখা যাচ্ছিল। সামনে একটা খোয়ার