স্কুলে স্যার বলেছিলেন সম্পর্ক গুলোকে আগলে রাখবি।
সেইমতো আমি হৃদয় পাত্রে ভরে পাহারা দিচ্ছিলিাম।
বজ্রকঠিন মানসিকতা প্রশমিত করে জাঁক দিয়েছি তাতে
শান্ত শীতল প্রজ্ঞায় সহ্য করেছি তার সমস্ত অত্যাচার।
ঘুনপোকাদের আতংকে রাত্রে না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। হঠাৎ সেদিন পাত্রটি উল্টে দেখলাম; কেউ নেই, কিছু নেই!
সমস্ত আবেগ এক করে হৃদয় পাত্র তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি।
পেয়েছি কেবল হিগস্ বোসন, রাশি রাশি হিগস্ বোসন।
স্কুল ফেরৎ বাচ্চা ছেলেটা আমাকে দেখে হেসেছিল, হেসেছিল বসন্তপুরের উলঙ্গ রসুল পাগল।
চিৎকার করে বলেছিল- ‘সবকুছ ঝুটা হ্যায়,সব ঝুট হ্যায়।’
বাড়ি ফিরে হৃদয় পাত্র উজাড় করে পুনরায় খুঁজলাম
সরু সুতোগুলোকে সন্তর্পণে জুড়তে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হই।
হৃদয় পাত্রের ভূগোল ইতিহাসের সঙ্গে ঈর্ষা করে,
সম্পর্কহীন পাত্র থেকে কেবল উঁকি মারে ঈশ্বর কণা
রাশি রাশি হিগস্ বোসন।