হাসান আজিজুল হক (ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার)
হাসান আজিজুল হক ছিলেন বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাসাহিত্যকও বটে।
ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তাঁর সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবন সংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। রাঢ়বঙ্গ তার অনেক গল্পের পটভূমি।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত এবং একান্নবর্তী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল সার্টিফিকেট অনুসারে তাঁর জন্মতারিখ ২রা ফেব্রুয়ারি হলেও আত্মস্মৃতি ‘ফিরে যাই ফিরে আসি’তে তিনি লিখেছেন তাঁর জন্ম হওয়া সম্ভব ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে। তাঁর পিতা মোহাম্মদ দোয়া বখশ্ এবং মাতা জোহরা খাতুন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ সালে যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা এবং ১৯৫৬ সালে খুলনার শহরের অদূরে দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রথম যৌবনেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতি করার কারণেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চরম নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে তাকে। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজে থেকে দর্শন-য়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ‘পি এইচ ডি’ অধ্যয়নের জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, এবং মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যয়ন করেছিলেন। কিন্তু বিদেশের পরিবেশ তাঁর ভালো না-লাগায় অধ্যয়ন শেষ না-করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং শিক্ষক ছিলেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি ব্রজলাল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে একত্রিশ বছর অধ্যাপনা করেন। ২০০৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের জন্য মনোনীত হন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি ‘বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ’-য়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নিজস্ব বাসভবন ‘উজান’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে ‘বিহাস’-য়ে।
রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় কলেজের উদ্যমী তরুণ ‘মিসবাহুল আজীমে’-য়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত ভাঁজপত্র ‘চারপাতা’য় হাসানের প্রথম লেখা ছাপা হয়, লেখাটির বিষয় ছিল রাজশাহীর আমের মাহাত্ম্য। তবে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত ‘সমকাল’ পত্রিকায় পত্রিকায় ১৯৬০ সালে ‘শকুন’ শীর্ষক গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে হাসান আজিজুল হক প্রথম তাঁর প্রতি সাহিত্যমোদীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে কৈশোর জীবনেই তার সাহিত্যচর্চার হাতেখড়ি। তিনি যখন কাশীশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তখন ঐ স্কুলে রাজা সৌমেন্দ্র চন্দ্র নন্দীর আগমন উপলক্ষ্যে একটি সম্বর্ধনাপত্র রচনার মধ্য দিয়ে তার লেখালেখি জীবনের শুরু। এছাড়া প্রবেশিকা পাশের পরপরই তিনি লেখেন ‘মাটি ও মানুষ’ শীর্ষক একটি উপন্যাস। যে রচনাটি অদ্যাবধি অপ্রকাশিত। ‘শকুন’ গল্পটি প্রকাশের আগেই ১৯৫৬ সালে নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ‘মুকুল’ পত্রিকায় তার ‘মাটি ও পাহাড়’ শীর্ষক একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া বি এল কলেজবার্ষিকীতে তার ‘লাঠি’ শীর্ষক একটি ছোটগল্প এবং ‘সাগর পারের পাখিরা’ শীর্ষক একটি কবিতা প্রকাশের কথাও জানা যায়। এ সময় ‘পাষাণ বেদী’ নামে একটি গল্পও প্রকাশ পেয়েছিল অন্য একটি কলেজবার্ষিকীতে। সাহিত্যচর্চার প্রথম দিকে হাসান আজিজুল হক কবিতা রচনায়ও আগ্রহী হয়েছিলেন। ‘বিনতা রায় : আমি’, ‘নিরর্থক’, ‘গ্রামে এলাম’, ‘দিনাবসান’, ‘কথা থাক’, ‘রবীন্দ্রনাথ’ প্রভৃতি কবিতা তিনি ১৯৫৭ সালে রচনা করেছিলেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ‘শামুক’ শীর্ষক একটি উপন্যাস রচনা করে ‘মানিক স্মৃতি উপন্যাস প্রতিযোগিতা’য় অংশগ্রহণ করেন। ‘শামুক’ উপন্যাসের আংশিক প্রকাশিত হয়েছিল রাজশাহী থেকে প্রকাশিত জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম সম্পাদিত ‘পূর্বমেঘ’ ত্রৈমাসিক পত্রিকায়। ছয় যুগ পর ২০১৫ সালে এ উপন্যাসিকাটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়।
১৯৬০ সালে ‘পূর্বমেঘ’ পত্রিকায় ‘একজন চরিত্রহীনের স্বপক্ষে’ গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পরই তিনি একজন ব্যাতিক্রমী কথাশিল্পী হিসেবে পরিগণিত হতে থাকেন। অচিরেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল সবগুলো পত্রিকায় তার ছোটগল্প প্রকাশিত হতে থাকে। ‘পূবালী’, ‘কালবেলা’, ‘গণসাহিত্য’, ‘ছোটগল্প’, ‘নাগরিক’, ‘পরিক্রম’, ‘কণ্ঠস্বর’, ‘পূর্বমেঘ’ প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। ১৯৬৩ সালে সুহৃদ নাজিম মাহমুদের সহযোগিতায় ‘সন্দীপন গোষ্ঠী’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে হাসান আজিজুল হক যুক্ত হন। হাসান আজিজুল হক এ সময় সুহৃদ নাজিম মাহমুদের সাথে যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেন ‘সন্দীপন’ শীর্ষক একটি সাহিত্য পত্রিকা। ষাটের দশকের প্রথম দিকে নাজিম মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, জহরলাল রায়, সাধন সরকার, খালেদ রশীদ প্রমুখ সংগ্রামী কয়েকজন তরুণের চেষ্টায় গঠিত হয়েছিল ‘সন্দীপন গোষ্ঠী’।
প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’ এর প্রথম গল্প ‘শকুন’ এ সুদখোর মহাজন তথা গ্রামের সমাজের তলদেশ উন্মোচিত করেছিলেন তিনি। প্রায় অর্ধশতাব্দীর গল্পচর্চায় বিষয়, চরিত্র ও নির্মাণকুশলতায় হাসান আজিজুল হক অনেক উল্লেখযোগ্য গল্পের রচয়িতা। এসবের মধ্যে রয়েছে ‘শকুন’, ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’ ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’ ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’।
১৯৬০ সালে ‘বৃত্তায়ন’ নামের একটি উপন্যাস লিখলেও তিনি নিজেই এটির বড় সমালোচক। এ রচনাকে তিনি নিজেই উপন্যাস হিসেবে অস্বীকার করে থাকেন। তবে ‘আগুনপাখি’ নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। উপন্যাসটি ‘প্রথম আলো’ বর্ষসেরা বইয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ২০০৮ সালে কলকাতা থেকে ‘আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ’সাবিত্রী উপাখ্যান’ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। ‘শিউলি’ নামে আরও একটি ছোট উপন্যাস তিনি লিখেছেন।
হাসান আজিজুল হকের উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
[ আগুনপাখি (উপন্যাস)
আত্মজা ও একটি করবী গাছ (গল্প-গ্রন্থ)]
তাঁর গল্পগ্রন্থ
—————————
সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য (১৯৬৪ সালে)
আত্মজা ও একটি করবী গাছ (১৯৬৭ সালে)
জীবন ঘষে আগুন (১৯৭৩ সালে)
নামহীন গোত্রহীন (১৯৭৫ সালে)
পাতালে হাসপাতালে (১৯৮১ সালে)
নির্বাচিত গল্প (১৯৮৭ সালে)
আমরা অপেক্ষা করছি (১৯৮৮ সালে)
রাঢ়বঙ্গের গল্প (১৯৯১ সালে)
রোদে যাবো (১৯৯৫ সালে)
হাসান আজিজুল হকের শ্রেষ্ঠগল্প (১৯৯৫ সালে)
মা মেয়ের সংসার (১৯৯৭ সালে)
বিধবাদের কথা ও অন্যান্য গল্প (২০০৭ সালে)
তার প্রবন্ধ-গ্রন্থ।
—————————
কথাসাহিত্যের কথকতা (১৯৮১ সালে)
চালচিত্রের খুঁটিনাটি (১৯৮৬ সালে)
অপ্রকাশের ভার (১৯৮৮ সালে)
সক্রেটিস (১৯৮৬ সালে)
অতলের আধি (১৯৯৮ সালে)
কথা লেখা কথা (২০০৩ সালে)
লোকযাত্রা আধুনিক সাহিত্য (২০০৫ সালে)
একাত্তর : করতলে ছিন্নমাথা (২০০৫ সালে)
ছড়ানো ছিটানো (২০০৮ সালে)
কে বাঁচে কে বাঁচায় (২০০৯ সালে)
বাচনিক আত্মজৈবনিক (২০১১ সালে)
চিন্তন-কণা (২০১৩ সালে)
রবীন্দ্রনাথ ও ভাষাভাবনা (২০১৪ সালে)
তাঁর উপন্যাস
—————————
আগুনপাখি (২০০৬ সালে)
সাবিত্রী উপাখ্যান (২০১৩ সালে)
শামুক (২০১৫ সালে)
তাঁর উপন্যাসিকা
—————————
বৃত্তায়ন (১৯৯১ সালে)
শিউলি (২০০৬ সালে)
তাঁর নাটক
—————————
চন্দর কোথায় (জর্জ শেহাদের নাটকের ভাষান্তর)
তাঁর শিশুসাহিত্য
—————————
লালঘোড়া আমি (১৯৮৪ সালে প্রকাশিত কিশোর উপন্যাস)
ফুটবল থেকে সাবধান (১৯৯৮ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গল্প)
তাঁর স্মৃতিকথা/আত্মজীবনীমূলক
——————————————————
ফিরে যাই, ফিরে আসি (১ম অংশ, ২০০৯ সালে)
উঁকি দিয়ে দিগন্ত (২য় অংশ, ২০১১ সালে)
টান (২০১২ সালে)
লন্ডনের ডায়েরি (২০১৩ সালে)
এই পুরাতন আখরগুলি (৩য় অংশ,
২০১৪ সালে)
‘দুয়ার হতে দূরে’ (৪র্থ অংশ, ২০১৭ সালে)
‘স্মৃতিকহন'(উপরে উল্লিখিত আত্মস্মৃতিমূলক চারটি গ্রন্থের সংকলন, ২০১৯ সালে)
তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ
—————————
গোবিন্দচন্দ্র দেব রচনাবলী (তিন খণ্ড, ১৯৭৯ সালে)
দুই বাংলার ভালোবাসার গল্প (যৌথ, ১৯৮৯ সালে)
একুশে ফেব্রুয়ারি গল্প সংকলন (২০০০ সালে)
কুসুমে কুসুমে স্মারকচিহ্ন (অধ্যাপক মফিজউদ্দিন স্মারকগ্রন্থ)
জন্ম যদি তব বঙ্গে (সারোয়ার জাহান স্মারকগ্রন্থ)
বং বাংলা বাংলাদেশ (যৌথ, সনৎকুমার সাহা সম্মাননাগ্রন্থ, ২০১২ সালে)
রমেন্দ্রনাথ ঘোষ : দার্শনিক প্রবন্ধাবলি (যৌথ, ২০১৪ সালে)
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা
———————————-
এছাড়া তিনি ‘প্রকৃতি’ নামে একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদনা করেন। এটির ১ম সংখ্যার প্রকাশকাল ১৯৯২ সালে। পত্রিকাটির চারটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
তাঁর রচনাসংগ্রহ
—————————
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-১ (২০০১ সালে)
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-২ (২০০১ সালে)
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৩ (২০০২ সালে)
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৪ (২০০৩ সালে)
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৫ (২০০৭ সালে)
হাসান আজিজুল হকের রচনাসংগ্রহ-৬ (২০১১ সালে)
তাঁর প্রাপ্ত-পুরস্কার
—————————
তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
২০১২ সালে তিনি আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি পান।
২০১৯ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
এই অসামান্য গদ্যশিল্পী তাঁর সার্বজৈবনিক (universal) সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে “সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন।
অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে –
বাংলাদেশ লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩ সালে)
অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১ সালে)
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩ সালে)
অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪ সালে)
ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮ সালে)
কাজী মাহবুবউল্লাহ ও বেগম জেবুন্নিসা পুরস্কার (১৯৯৪ সালে)
খুলনা সাহিত্য মজলিশ সাহিত্য পদক (১৯৮৬ সালে)
রাজশাহী লেখক পরিষদ পদক (১৯৯৩ সালে)
সাতক্ষীরা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৭ সালে)
দিবারাত্রির কাব্য সাহিত্য পুরস্কার (পশিচমবঙ্গ) (১৯৯৭ সালে)
শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৯ সালে)
রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (২০০২ সালে)
আব্দুর রউফ স্মৃতি পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার (হবিগঞ্জ) (২০০৩ সালে)
ক্রান্তি পদক (২০০৪ সালে)
অমিয়ভূষণ সম্মাননা (জলপাইগুড়ি) (২০০৪ সালে)
গ্রুপ ধিয়েটার ফেডারেশান সম্মাননা (২০০৬ সালে)
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই (২০০৭ সালে)
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার (২০০৭ সালে)
আনন্দ পুরস্কার (২০০৮ সালে)
হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার (২০১৬ সালে)
সেলিম আল দীন লোকনাট্য পদক
শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার (২০১৮ সালে)
সাহিত্য রত্ন পুরস্কার
সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৯ সালে)
হাসান আজিজুল হকের স্ত্রী শামসুন নাহার ( ১৯৫৮ সালে জন্ম -২০১৩ সালে মৃত্যু)।
তাঁর তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তান।
হাসান আজিজুল লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন ১৯৬৪ সাল থেকে – আমৃত্যু ২০২১ সাল পর্যন্ত।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন অসুস্থতায় ভোগার পর, ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর, হাসান আজিজুল হক তার রাজশাহীর বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমাধিস্থ করা হয়।
—————————————————————-
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া]
‘শামুক’ উপন্যাসটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত হলেও, এ উপন্যাসটিই হাসান আজিজুল হক প্রথম রচনা করেছিলেন। প্রথমে উপন্যাসটি অংশ বিশেষ একটি লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিতও হয়েছিল। পরে তিনি রচনাটি আর কোথাও প্রকাশ করেন নি। সম্প্রতি চন্দন আনোয়ারের সম্পাদনায় উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে।
“হাসান আজিজুল হকের আগুনপাখি”। সংগ্রহের তারিখ – ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৮ সাল।
“সাহিত্যরত্ন সম্মাননা পেলেন হাসান আজিজুল হক”। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ – ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৮ সাল।
মুহম্মদ, ষড়ৈশ্বর্ষ। “হাসান আজিজুল হক”। সংগ্রহের তারিখ – ১৬ই অক্টোবর ২০০৯ সাল।
আনোয়ার, চন্দন (সম্পাদক)। হাসান আজিজুল হক : নিবিড় অবলোকন (১ম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৩৪৭-৩৫৩।
চন্দন আনোয়ার, হাসান আজিজুল হকের কথাসাহিত্য : বিষয়বিন্যাস ও নির্মাণকৌশল, ঢাকা : বাংলা একাডেমি, ২০১৫। আইএসবিএন : ৯৮৪-০৭-৫৪১১-৪
বাংলা নিউজ২৪ ডট কম
“রাবির সমাবর্তনে ডি-লিট ডিগ্রি পাচ্ছেন হাসান আজিজুল ও সেলিনা হোসেন”। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ – ২৩ শে অক্টোবর ২০১৮ সাল।
“বাংলা লোকনাট্যের বড় উৎসব”। দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ – ১৭ই এপ্রিল ২০১৭ সাল।
“শওকত ওসমান সাহিত্য পুরস্কার পেলেন হাসান আজিজুল হক”। দৈনিক ইত্তেফাক। ১১ই মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ – ১৩ই মে ২০১৮ সাল।
“সাহিত্য রত্ন সম্মাননা পেলেন হাসান আজিজুল হক”। প্রথম আলো। ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১৮।
“স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান”। ২০১৯-০৩-১০। Archived from the original on ২০১৯-০৩-১০। সংগ্রহের তারিখ – ১০ই মার্চ ২০১৮ সাল।
“কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই”। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ – ১৫ই নভেম্বর ২০২১ সাল।