শহরে দুধের গাড়ি ঢুকছিল না দুদিন ধরে…
দুধের কাউন্টারগুলোতে” দুধ পাউচ নেই” লেখা
পিচবোর্ডের হোডিং সেদিনও হাওয়ায় দুলছিল,
যেমন এক প্রবল মারণ ঝড়ে চিন্তার স্রোত আন্দোলিত, সকলের মনে জমছে কালো মেঘ।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে কবে যে ফিরবে সাবলীল
জীবন যাত্রা,নাগরিক ছন্দে স্বাধীনতা।
যে দুজন গয়লা খুব ভোরে বেরিয়ে সারাদিন আবাসন ঘুরে বাধা খদ্দেরদের যোগান দিতো,
করোনা আধিক্য বাড়তে শুধু তাদের নয়,
ক্যুরিয়ার ,পেপারম্যান,সকলের পেটে একপ্রকার
লাথি পড়েছে,চিন্তার চওড়া ভাঁজ!
করোনা দুর্দিনে বাচ্চাদের দুর্ভোগের শেষ নেই,
শ্রেণী কক্ষের সাবলীল জীবন,শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধুবান্ধবদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিথস্ক্রিয়ার দাঁড়ি।
কবে যে স্বাভাবিক হবে সাধারণ পরিষেবা গুলো
অ্যাম্বুলেন্সের ঘন ঘন সাইরেনে ক্রমশ আড়ালে
সরে যাচ্ছে সুস্থ হোক পৃথিবী এই প্রতিক্ষার।
কিছু দিন আগেও ভগবানের ধ্বনি তুলে আধুনিক রথে ঠাকুর নন অধিষ্ঠিত হয়ে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে প্রতিশ্রুতি আর অহংকার বিলিয়েছেন নেতা।
মাস্ক হীন,সচেতনতা হীন কাতারে কাতারে শুধু রাস্তার দুপাশে জনস্রোতের বন্যা দেখেছি….
এরপর দেখলাম মৃত দেহের সারি, কেবল শ্মশানে নয় মাঠঘাট প্রান্তর ছেড়ে নদী নালা সর্বত্র মৃত্যুর উল্লাস!যেন সজোড়ে থাপ্পড় দিয়ে আধুনিকতাকে বলছিল,” দ্যাখ কেমন লাগে”!
এ কেমন যেন বুমেরাং উল্টো দৃশ্য এসে হিম শীতল মৃত্যুর শিহরণ বইয়ে দিয়েছিল!
কি যে হলো শুধু মুর্খামি, অসচেতনতার অভাবে!
দিকে দিকে মুমূর্ষ রোগীর ন্যূনতম পরিষেবা ছিল যেখানে স্বপ্ন!
নাই অক্সিজেন , নেই বেড, নেই ভ্যাকসিন এমনকি নেই স্বপ্ন দেখানো নেতাদের মুখ…!
নিখোঁজ হওয়ার খবর ভাসছিল চারিদিকে!
সত্যিই এ এক আশ্চর্য দারুন স্বাধীনতা অনুভূতি! মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয় কিন্তু আমরা
পিঠ চাপড়ে নিজেদের বলেছি “পথ প্রদর্শক,
দুনিয়াকে আলো দেখাবো’,
বাস্তবে নির্বুদ্ধিতায় ল্যাজে গোবরে হয়ে প্রিয় দেশকে মৃত্যুপুরী বানাতে ক্রমশ আত্মনির্ভর হচ্ছি।