জানি না আমি আজ সন্ধেবেলা কী ভেঙে পড়বে আকাশ থেকে—
মোটরগাড়ি, ল্যাম্প-পোস্টের ভেতর দিয়ে
দেখি, কলকাতার দিকে চলে গ্যালো—আমাকেও ঐরকম
কলকাতার দিকে চলে যেতে দাও—ছাব্বিশ বছর, শেষ হতে চললো আমার
হে ঈশ্বর, আমি জানি—আটাশ বছর, তিরিশ বছর, এইরকমভাবেই
কেটে যাবে আমার—আমার পা
বিকেলের আলোয় খোলাখুলি ছড়িয়ে থাকবে বিছানার ওপর
হাত, অলসভাবে তুলে নেবে জলের গেলাস—দূরে, বহুদূরের
সেই দিনও হয়তো থমথম করবে এই রকম—মাথার ওপর দিয়ে, দ্রুত
চকিতে উড়ে যাবে মুখর উড়োজাহাজে—আমার ভালোবাসা
আবার আমি ফিরে পাবো কি কোনোদিন? জানি না
জানি না আমি, কোন্ শুভ্র হাত থেকে
ঝরে পড়ে ভালোবাসার সবুজ তৃণ—কোন্ অলৌকিক আলোয়, কুষ্ঠ রোগী
মুখ তুলে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে—আশেপাশে
কেউই থাকে না আজকাল, কেউ নয়—
মানুষের থেকে, আরও নিপুণভাবে লুকিয়ে পড়া শিখে নিয়েছে
এমনকী বিড়ালগুলো—অনেক চিঠি লেখা
শেষ হলো আমার—জানলার পাশে বসে শেষ হলো আমার, অনেক
ভাঙা দুপুর—আমার এই ঘর
আমি ছেড়ে যাবো একদিন—আমার চেয়ার থেকে নিঃশব্দে উঠে, একদিন
আমি অদ্ভুত নির্বাসনে চলে যাবো—গ্রীষ্মের দুপুরে
কুকুরগুলো ঝিমোতে ঝিমোতে অতীতের কথা ভাবে? আমি জানি না
জানি না আমি—অর্থহীন বারান্দা
শুধু শুধুই জেগে ওঠে আমার বুকের ভেতর-হায়, জীবন
আর কিছুই মনে পড়ে না আমার-আমার কিছুই মনে পড়ে না আর